এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জল্পনা বাড়িয়ে এবার নিরাপত্তারক্ষী ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী

জল্পনা বাড়িয়ে এবার নিরাপত্তারক্ষী ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী

 

মন্ত্রী হলেই যে কেউ নিরাপত্তারক্ষী পান। সাইরেন বাজানো গাড়ি, পুলিশ প্রহরায় পথ চলতে কার না ভালো লাগে! তবে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও সেইভাবে নিরাপত্তারক্ষী নিতে দেখা যায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মানুষের মাঝে মিশে নিরাপত্তার বেড়াজালকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন তিনি। আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই হাঁটলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।

বস্তুত, কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে গুলি করে খুনের ঘটনার পর রাজ্যের অনেক মন্ত্রী থেকে বিধায়কদের নিরাপত্তাব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছিল। তভে অদৃষ্টের উপর সমস্ত কিছু ছেড়ে দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে আরও ভালো করে মেশবার জন্য এবার সেই নিরাপত্তারক্ষীকে দূরে সরিয়ে দিলেন রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 1968 সাল থেকেই দক্ষিণপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এই হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক। প্রথমে কংগ্রেস করলেও 2001 সালে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। আর সেই সময় থেকেই এলাকার মানুষের সঙ্গে নিবিড় জনসংযোগ গড়ে তোলেন তিনি। 2001 সাল থেকে টানা তৃণমূলের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। আর তখন থেকেই সাধারণ মানুষের পাশে থেকে নিরাপত্তারক্ষী নিহত দুরস্ত উল্টে সাইকেলে চেপে সকলের সাথে যোগাযোগ রাখতে দেখা যেত আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে 2011 সালে রাজ্যে ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস আসলে আশিসবাবুর নিরাপত্তা বাড়বে বলে মনে করেছিলেন একাংশ।

হয়তো বা সেই নিরাপত্তারক্ষী বৃদ্ধিও পেয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রীমহোদয় তা নিতে নারাজ। জানা যায়, বর্তমানে তিনি রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী। পাইলট-এস্কর্ট গাড়ির সঙ্গে তার সাথে সব সময় সাতজন আগ্নেয়াস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। তবে নিরাপত্তারক্ষীর জন্য সাধারণ মানুষের সাথে তার দেখা করার পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রেই অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে বলে অনুভব করতে শুরু করেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাইতো এবার সেই নিরাপত্তারক্ষী দূরে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন এক সাক্ষাৎকারে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা শহরে সিকিউরিটি ছাড়াই ঘোরেন। তিনি আমার কাছে আদর্শ। রামপুরহাট খুব একটা বড় শহর নয়। আগে আমি এখানে সাইকেলে চড়ে ঘুরতাম। সিকিউরিটি প্রয়োজন হয়নি। যখন রাজনীতি করছি, তখন নিঃসন্দেহে মানুষের হাতের নাগালে থাকা উচিত। প্রথম যখন মন্ত্রী হই, তখন প্রটোকল অনুসারে পুলিশ নিরাপত্তা দিতে শুরু করে। কিন্তু এতদিন যারা খুব সহজেই আমার সঙ্গে দেখা করতে পারতেন, তারা আমার অফিসে ঢুকতে পারছিলেন না। শহরে গাড়ি নিয়ে ঘুরলে সাইরেন বাজাতে নিষেধ করতাম। তাই পরবর্তী সময় দেখলাম যে এমন নিরাপত্তার কোনো দরকার নেই। আমার মনে হয় নিরাপত্তাকর্মী নিয়ে ঘুরলে মনে অহংকারের জন্ম দেয়।”

কিন্তু মন্ত্রী হিসেবে তো অনেক রিস্ক আছে। আর সেই কারণেই তো নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়। তাহলে কেন তিনি তা নিচ্ছেন না! এদিন এই প্রসঙ্গে আশিসবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিক্ষাটাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যেদিন ওপর থেকে ডাক আসবে, সেদিন আমাকে যেতেই হবে। 2001 সাল থেকে মানুষ আমাকে সমর্থন করে আসছেন। সেখানে আমার তো একটা মূল্য দেওয়া উচিত। আমি এভাবেই চলতে চাই।”

আর রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীর এহেন বক্তব্য শুনে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মন্ত্রী হয়েও যেভাবে নিরাপত্তারক্ষীকে বর্জন করে সাধারণ মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার কথা শোনা গেল আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়, তাতে তিনি সত্যিই বড় মনের পরিচয় দিলেন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। যা মন্ত্রীমহোদয়ের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতাকে অনেকাংশেই বাড়িয়ে দিল বলে মনে করছেন সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!