এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > হেভিওয়েট মন্ত্রী মার্ খেয়ে মমতাকে জানানো বিষয়ে কি বলছেন ?

হেভিওয়েট মন্ত্রী মার্ খেয়ে মমতাকে জানানো বিষয়ে কি বলছেন ?

রাজনৈতিক দলগুলোর সুবাদে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব খুব পরিচিত শব্দ এখন আমাদের কাছে। বরাবরই শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠে। যার ফলে রাজ্যের প্রধান বিরোধীদলগুলিও শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে প্রতিনিয়ত কটাক্ষ করে থাকে। এবার সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কলকাতার রাজপথে উঠে এলো। রাজ্যের মন্ত্রী ও সাংসদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবার প্রকাশ্যে সামান্য বচসা থেকে শুরু হয়ে হাতাহাতিতে গিয়ে শেষ হলো। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে শাসক শিবিরে এই ঘটনা ঘিরে চরম অস্বস্তি শুরু হয়েছে।

এবারের ঘটনার সূত্রপাত চলচ্চিত্র উৎসবকে ঘিরে। এদিন রাসবিহারীতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রকাশ্যে সংঘর্ষ দেখল কলকাতাবাসী। চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমা দেখানোকে কেন্দ্র করে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থকদের সঙ্গে সাংসদ মালা রায়ের সমর্থকদের মধ্যে তুমুল গন্ডগোল শুরু হয়। যার ফলে রাসবিহারী মোড়ে দীর্ঘক্ষণ অবরোধ চলে। ফলে দক্ষিণ কলকাতায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

এদিন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ জানান, সংসদ মালা রায়ের ঘনিষ্ঠ মৃত্যুঞ্জয় নামক এক ব্যক্তি তার জামার কলার ধরে টানাটানি করে। অন্যদিকে সাংসদ মালা রায় দাবি জানিয়েছেন, ঝামেলা শুরু হয়েছিল শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থকদের দ্বারা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘মন্ত্রীর লোকেরা এলাকার মহিলা ও যুবকদের নিজেই মারধর করেছেন। পুরো ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আছে।’

এদিন ঘটনার সূত্রপাত ঘটে ‘পাড়ায় পাড়ায় সিনেমা’ দেখানো নিয়ে। 88 নম্বর ওয়ার্ডে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় দলীয় পার্টি অফিসের সামনে ‘প্রাক্তন’ সিনেমাটি দেখানোর ব্যবস্থা করেন। এদিন তিনি জানান, ‘তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তর চিঠি দিয়ে অনুরোধ করায় এই ব্যবস্থা হয়েছিল। ওরাই পর্দা লাগিয়েছে, সিনেমাও দেখিয়েছে। আমরা আগেই পুরসভাকে চিঠি দিয়েছিলাম, ওই মঞ্চের আশেপাশে আলো ঘন্টা তিনেকের জন্য বন্ধ করতে। কিন্তু সেই অনুরোধ মানা হয়নি। এরপর আমাদের কর্মীরাই দু’পাশের দুটি আলো নিভিয়ে দেয়। তিন দফায় আলো জ্বালিয়ে দেওয়ায় রাজ্য সরকারের কর্মসূচি পালন করতে না পেরে চলে এসেছি।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে মালা রায় অভিযোগ জানিয়েছেন, ‘পুরসভার অনুমতি না নিয়েই এলাকার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পুরসভার তালা ভেঙে তিন-চারটি ফিউজ তুলে নিয়ে গিয়ে প্রতাপাদিত্য রোড, সাহানগর রোড, রাসবিহারীর এস পি মুখার্জি রোড সহ সমস্ত বড় রাস্তার আলো নিভিয়ে দিয়েছিল মন্ত্রীর লোকেরা। মালা রায় আরো জানান, এই ঘটনার ফলে এলাকার বস্তিবাসী ও সাধারন মানুষ উত্তেজিত হয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। সমস্ত ঘটনার ফলে রাতেই মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন।

চলচ্চিত্র উৎসবকে ঘিরে এ ধরনের ঘটনায় তুমুল বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। এতদিন দলীয় স্তরের নিচের দিকে এধরনের ঘটনা দেখা যেত। কিন্তু এবার স্বয়ং মন্ত্রী ও সাংসদের সমর্থকদের মধ্যে এরকম হাতাহাতির ঘটনায় তৃণমূল দল রীতিমতো বিপাকে পড়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত এই ঘটনাকে ঘিরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।

 

এই ঘটনা কি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন? শোভনবাবুর বক্তব্য, ‘আমাকে ফোন করেনি। বসিরহাট গিয়েছে, ব্য়স্ত রয়েছে। আমি তাই ফোন করে বিরক্ত করিনি। আমি ববিকে (মেয়র ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম) দু’বার জানিয়েছি। ববি নিজে দুঃখপ্রকাশ করেছে। কাল দেখা করে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানাব।’ মন্ত্রী ও সাংসদের এই কোন্দলে ঘোর অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মালা রায়ের প্রতি ক্ষোভ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘কাউন্সিলর মানে ওই এলাকার জমিদার নাকি। ওর অনুমতি নিয়ে করতে হবে। আমি কর্পোরেশনের যা নিয়ম তা মেনে করেছি। যাদের জানানো দরকার তাঁদের জানানো হয়েছে।’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!