এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > হেভিওয়েট মন্ত্রী ফিরে যেতেই বিস্ফোরক মোহন বসু, জোর চাঞ্চল্য তৃণমূলে!

হেভিওয়েট মন্ত্রী ফিরে যেতেই বিস্ফোরক মোহন বসু, জোর চাঞ্চল্য তৃণমূলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –জলপাইগুড়ি পৌরসভার মোট মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই দলের বিরুদ্ধে রীতিমতো খড়গহস্ত মনোভাব পোষণ করেছিলেন সেই পৌরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান মোহন বসু। মেয়াদ উত্তীর্ণ পৌরসভায় প্রশাসক বোর্ডে তার নাম না থাকায় জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রীতিমতো সরব হয়েছিলেন তিনি। জেলা তৃণমূলের সভাপতি কৃষাণ কল্যাণী বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে নানা মন্তব্য করতে দেখা যায় তাকে।

যার ফলে রাজনৈতিক মহলে সেই মোহন বসুকে নিয়ে তীব্র জল্পনা শুরু হয়। তার বাড়িতে বেশ কিছু বিজেপি নেতার উপস্থিতি সেই জল্পনাকে আরও তীব্র করে। নানা মহলে তৈরি হতে শুরু করে প্রশ্ন। তাহলে কি মোহন বসু এবার জার্সি বদল করতে চলেছেন! যদিও বা দলে থেকেই জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রীতিমত নিজের বিরোধিতার সুরকে আরও চওড়া করেন এই তৃণমূল নেতা।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, তৃণমূলের উত্তরবঙ্গ কোর কমিটির চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী গৌতম দেব এসে সেই মোহন বসুর মান ভাঙ্গানোর চেষ্টা করেন। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি জেলায় আসেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। যেখানে অরূপবাবু নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করলেও সেখানে নাম থাকতে দেখা যায়নি মোহন বসু যার ফলে আরও চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তাহলে কি তৃণমূলের সঙ্গে মোহন বসুর দূরত্ব বাড়ছে! এই নিয়ে যখন প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল, ঠিক তখনই অরূপ বিশ্বাস মোহন বসুর সাথে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি মোহনবাবু অসুস্থ। তিনি সুস্থ হলে দলে সক্রিয় ভাবে যোগ দেবেন বলেও দাবি করেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী। তবে জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জেলা ছাড়ার সাথে সাথেই এবার দলের বিরুদ্ধে রীতিমত বিদ্রোহী মনোভাব পোষণ করলেন জলপাইগুড়ি পৌরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তৃণমূল নেতা মোহন বসু। সূত্রের খবর, এদিন মোহনবাবু বলেন, “দল যদি আগামী পৌরসভা নির্বাচনে আমাকে টিকিট না দেয়, তাহলে ত্রিশূল চিহ্ন দাঁড়িয়ে ভোটে জিতে দেখাব। পৌরসভার আসন ধরে ধরে জলপাইগুড়ি পৌর এলাকায় 25 টি ওয়ার্ডে অনুগামীদের নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি।”

আর জেলা পর্যবেক্ষক ফিরে যাওয়ার সাথে সাথেই হঠাৎ করে মোহন বসুর এই বিদ্রোহী মনোভাবকে কেন্দ্র করে এখন তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয়েছে টালমাটাল পরিস্থিতি। তাহলে কি এবার সরাসরি দলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন এই হেভিওয়েট নেতা? এতদিন জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। এভাবে এবার যেভাবে আগামী পৌরসভা নির্বাচনে টিকিট না পেলে গোজ প্রার্থী দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন, তাতে তার সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বাড়ছে বলেই দাবি করছেন সকলে। যদিও বা মোহন বসুর এই বক্তব্যে গুরুত্ব দিতে নারাজ জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জী।

এদিন তিনি বলেন, “মোহন বসু মহাশয় আমাদের চেয়ে বয়সে অনেক বড়। তাই কটুক্তি করা শোভা পায় না। তবে এটুকু বলতে পারি, ঘাসফুল বাদে অন্য সিম্বলে দাঁড়ালে লড়াইতে তিনি দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্থানে থাকবেন।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অরূপ বিশ্বাস জেলায় এসে পরিস্থিতিকে শান্ত করে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ফিরে যাওয়ার সাথে সাথেই যেভাবে মোহন বসু বিদ্রোহী হয়ে উঠলেন, তাতে অরূপবাবুর এই সফর বিন্দুমাত্র কাজে দিল না বলেই দাবি করছে তৃণমূলের একাংশ। এখন দলে মোহন বসুর এই বিদ্রোহী মনোভাব তৃণমূলকে কতটা অস্বস্তিতে ফেলে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!