বর্তমানে করোনা ভাইরাস নিয়ে সকলেই চিন্তিত। প্রতিটি রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার চেষ্টা করছে, কিভাবে এই ভাইরাসকে আটকানো যাবে। আর এরই মাঝে এসে পড়ছে কিছু ঘটনা। যা নিঃসন্দেহে নজর কাড়ছে সকলের। এবার দক্ষিণ দিল্লির এক ঘটনা রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি করল গোটা দেশজুড়ে। জানা গেছে, গত 18 এপ্রিল দক্ষিণ দিল্লির এক চিকিৎসক গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আর এরপরই তিনি তার সুইসাইড নোটে লেখেন যে, দিল্লির শাসক দল আম আদমি পার্টির বিধায়ক প্রকাশ জারওয়াল তাকে হেনস্থা করেছেন।

আর তাই তিনি এই পথ বেছে নিয়েছেন। আর দিল্লির শাসকদলের বিধায়কের বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসবার পরই তৈরি হয় তোলপাড় পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই সেই বিধায়কের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। শুধু বিধায়ক নন, তার অনুগামী কপিল নাগারের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তবে বর্তমানে দুজনেই নিখোঁজ রয়েছেন বলে খবর। কিন্তু কেন হঠাৎ আম আদমি পার্টির এই বিধায়কের বিরুদ্ধে সুইসাইড নোটে অভিযোগ করে গেলেন সেই আত্মঘাতী চিকিৎসক?

জানা গেছে, সেই চিকিৎসকের ছেলে পুলিশকে জানিয়েছেন যে, তার বাবা একটি ক্লিনিক চালাতেন। এছাড়াও গত 2007 সাল থেকে দিল্লি জল বোর্ডে তারা জল সরবরাহ করতেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে চিকিৎসক যেভাবে সুইসাইড নোটে অভিযোগ করে গেছেন, তাতে আম আদমি পার্টির বিধায়ক প্রকাশ জারওয়াল যে চরম বিপাকে পড়েছেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রত্যেকেই।

যদিও বা এই প্রসঙ্গে দিল্লির শাসক দলের বিধায়ক বলেন, “আমি নির্দোষ। গত 10 মাসে তার সঙ্গে আমার একবারও কথা হয়নি। 2017 সালে এক নিউজ চ্যানেলে তার সম্পর্কে অপারেশন করে। তখন তার নাম দেওয়া হয়েছিল ট্যাংকার মাফিয়া। পরে তার গাড়িগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। আমাকে আগেও ফাঁদে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। অতীতে আমি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করেছি। এবারও করব। আমি পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে রাজি।”

সব মিলিয়ে এবার এক চিকিৎসকের আত্মহত্যার পেছনে দিল্লির শাসক দলের বিধায়কের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় গোটা ঘটনা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।