প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট: – গত লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল। এমনকি নির্বাচনের পরবর্তী সময়কালে বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে বিধায়ক যোগ দিতে শুরু করেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। যার ফলে অনেকটাই ব্যাকফুটে ঘাসফুল শিবির। বর্তমানে নীচুতলার তৃণমূল কর্মীরা দলবদল করলেও, সেভাবে কোনো শীর্ষ নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করবেন, এমন খবর পাওয়া যায়নি।

কিন্তু এরই মাঝে হঠাৎ করে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়ার সঙ্গে বিজেপি নেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্যের যোগাযোগ রয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন বিজেপির প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি। যার ভিত্তিতে এখন নতুন করে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে সবংয়ের 13 নম্বর অঞ্চলের শিবচক গ্রামে তৃণমূল সাংসদ মানস ভূঁইয়াকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। আর এর পরেই পুলিশের পক্ষ থেকে বিজেপির বেশকিছু কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। যেখানে গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। যার মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন বিজেপির মন্ডল সভাপতি অজিত মন্ডল। আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে জেল থেকে ছাড়া পান তিনি।

আর এবার সেই অজিতবাবুই অভিযোগ করলেন যে, বিজেপির জেলা সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়ার। স্বাভাবিকভাবেই তার এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে এবার নতুন করে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা জেলাজুড়ে।সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি অজিত মন্ডল বলেন, “জেলে থাকার সময় অন্তরা ভট্টাচার্য্য দেখতে না গেলেও ভারতী ঘোষ দিয়েছিলেন। অন্তরা ভট্টাচার্যকে যদি জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো না হয়, তাহলে দলে ভাঙ্গন ধরবে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়ার সঙ্গে অন্তরা ভট্টাচার্যের যোগসাজশ রয়েছে।”

একাংশ বলছেন, এই কথা বলে যেমন বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন বিজেপির প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি, ঠিক তেমনই তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়াকেও অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন তিনি। তাহলে কি সত্যি সত্যিই বিজেপি এই নেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়ার? এদিন এই প্রসঙ্গে অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ওঠা সম্পূর্ণ অভিযোগ মিথ্যা। অজিত মন্ডল ষড়যন্ত্র করছেন। আমার ভাবমূর্তি খারাপ করার জন্যই এসব করা হচ্ছে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্তরা ভট্টাচার্য এখন এই কথা বললেও অজিত মন্ডল মানস ভুঁইয়া এবং তার সম্পর্ক নিয়ে যে অভিযোগ তুললেন, তা বঙ্গ রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এখন অজিতবাবুর এই মন্তব্য আদৌ বাস্তব হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।