আবার রাজনৈতিক ‘পুনর্বাসন’ দুই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার – জানুন বিস্তারিত বর্ধমান রাজ্য February 13, 2019 লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে দলের সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধি করতে এবার দুই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার পুর্নবাসন করল জোড়াফুল শিবির। একজন হলেন জামালপুরের প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল প্রামাণিক এবং অন্যজন হলেন মেমারির প্রাক্তন বিধায়ক আব্দুল হাসেম মণ্ডল। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতির প্রাথমিক পর্বেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই দলের সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধির উপর জোর দিয়ে এসেছেন। দলের মাদার গোষ্ঠী এবং যুবদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হলে তিনি প্রবীণদের অভিজ্ঞতাকে পাথেয় করে যুবদের কর্মযজ্ঞে ঝাপ দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন। দলনেত্রীর সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই বীরভূম জেলা তৃণমূল এবার দলের সাংগঠনিক শক্তিকে আরো বাড়িয়ে তুলতে দল থেকে নির্বাসিত নেতাদের দলে ফিরিয় আনাতে উদ্যোগী হল। জামালপুরের প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল প্রামাণিককে দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বর্ধমানের বাসিন্দা এই হেভিওয়েট নেতা ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামপ্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন। একসময় পরিষদীয় সচিবও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আদালতের রায়ে বাকিদের সঙ্গে তাঁরও চাকরি যায়। এই জামালপুরের প্রাক্তন বিধায়ককে পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতির মাথার মেন্টর হিসাবে তাঁকে দায়িত্বে আনল রাজ্য সরকার। দলে ফিরতে পেরে বেজায় সন্তুষ্ট উজ্জ্বলবাবু। তাঁর বক্তব্যে ধরা পড়ল সেই চাপা উচ্ছ্বাসই। তিনি বলেন,“মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে নির্বাচিত করেছেন। মানুষের কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। সবার সঙ্গে সমন্বয় রেখে সকলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করাই আমার লক্ষ্য।’’ আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে,ডেপুটি মেন্টর পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে মেমারির প্রাক্তন বিধায়ক আব্দুল হাসেম মণ্ডলকে। প্রসঙ্গত,সপ্তাহ দুয়েক আগে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিব দিব্যেন্দু দাস জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে রাজ্য সরকারের নির্দেশ জানান। এদিন জেলাশাসক তথা জেলা পরিষদের এগজিকিউটিভ অফিসার অনুরাগ শ্রীবাস্তব ওই চিঠির নির্দেশ অনুযায়ী মেন্টর হিসেবে উজ্জ্বলবাবু ও ডেপুটি মেয়র হিসেবে আব্দুল হাসেম মণ্ডলকে নিয়োগপত্র দেন। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, মেন্টররা প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা এবং এলাকা পর্যবেক্ষণের জন্যে গাড়ি পাবেন। আর ডেপুটি মেন্টররা মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে পাবেন। তাঁদের কাজের তালিকায় রয়েছে জেলা পরিষদের উন্নয়নমূলক কাজ পর্যালোচনা করা, কাজের সমন্বয় সাধন এবং জেলা পরিষদের সদস্যদের পরামর্শ দেওয়া। জেলা পরিষদ ভবনেই মেন্টর ও ডেপুটি মেন্টরের জন্যে দুটি ঘর তৈরি করা হচ্ছে বলেই জানালেন জেলা পরিষদের সহ সভাপতি দেবু টুডু। উপপ্রধান অজিত মণ্ডলের বক্তব্য,স্বাস্থ্যকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি তৈরি হয়েছে। প্রতিটি গ্রামেও এই কমিটি খুব শীঘ্রই তৈরি করা হবে। আপনার মতামত জানান -