হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা পুলিশের জালে আসতেই ঘুম ছুটেছে ঘনিষ্ঠ ‘ব্যবসায়ীদের’ উত্তরবঙ্গ রাজ্য July 20, 2018 কিছুদিন আগেই জল্পনা বাড়িয়ে গ্রেপ্তার হন উত্তরবঙ্গের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান তথা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস নেতা লগিন দাস। আর তার এই গ্রেপ্তারির পরেই ঘুম উড়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শাসক দলেরই একাধিক প্রভাবশালী নেতা ও স্থানীয় বেশ কিছু দাপুটে ব্যবসায়ীর বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে স্থানীয় সূত্রের আরো খবর, গাড়ির শোরুম থেকে ভিন রাজ্যে বিলাসবহুল হোটেল, বিলাতি মদের দোকান থেকে ঠিকাদারি – লগিন দাস প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত এরকম কোন ব্যবসাটা নেই! আর স্থানীয় অধিবাসীদের আরো অভিযোগ, লগিন দাসের সঙ্গে বেশকিছু প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা নামে-বেনামে যৌথভাবে এইসব ব্যবসা করতেন। আর তাই এখন লগিন দাস গ্রেপ্তার হতেই মাথায় হাত ওই সব ‘ব্যবসায়ীদের’। কেননা গতকাল থেকেই দফায় দফায় লগিন দাসের ‘অনুগামী’ ও ‘বন্ধু’ বলে পরিচিত একাধিক ব্যক্তিকে জেরা শুরু করেছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। এমনকি, তাঁদের সম্পত্তির হিসাব, শাসকদলের কার সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে – খোঁজখবর চলছে সেসবেরও। যদিও ‘তদন্তের স্বার্থে’ এই নিয়ে এখনো মুখ খুলতে চান নি কোনো পুলিশ অধিকারিকই। কিন্তু, স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, লগিন দাসের গ্রেপ্তারির পরে আরো অনেক ‘রাঘববোয়ালই’ জালে উঠবে। এতদিনের এতসব ‘কর্ম’ ঠিকভাবে তদন্ত হলে কার সম্পত্তি কিভাবে কত ফুলে ফেঁপে উঠেছে সবই বেরিয়ে আসবে। তবে কার মদতে লগিন দাসের এইসব করা সেটাও তদন্ত করে দেখা উচিত। লগিন দাসের ব্যবসার অংশীদার ও দেখভালের দায়িত্বে থাকা লোকজনকে ভালো করে জেরা করলেই এসব উঠে আসবে বলেও তাঁদের অভিমত। আপনার মতামত জানান -