এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > বহিস্কৃত প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা, গ্রেপ্তার ঘনিষ্ঠ ৩ অনুগামী! উত্তাল শাসকদলের অন্দরমহল

বহিস্কৃত প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা, গ্রেপ্তার ঘনিষ্ঠ ৩ অনুগামী! উত্তাল শাসকদলের অন্দরমহল


করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও তৃণমূলের অস্বস্তি যেন কমছে না কিছুতেই। আর এবার একদিকে দলের পঞ্চায়েত প্রধানকে বহিষ্কার, আর অন্যদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় রীতিমত উত্তাল জঙ্গিপুর তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরমহল। জানা গেছে, মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের জোতকমলে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করে। যে ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় পঞ্চায়েত প্রধান বাপি ঘোষের অনুগত তিনজনকে।

পাশাপাশি সম্প্রতি তৃণমূলের পক্ষ থেকে বৈঠক করে পঞ্চায়েত প্রধান বাপি ঘোষকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর একদিকে তার অনুগামীদের গ্রেপ্তার, আর অন্যদিকে তাকে বহিষ্কারের ফলে এখন রীতিমত ডামাডোলের সৃষ্টি হয়েছে শাসক দলে। তবে প্রথমে বাপিবাবুকে বহিষ্কার করা হলেও, পরবর্তীতে তা খারিজ করে দেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি আবু তাহের।

এদিন তিনি বলেন, “দল আগে সংঘর্ষের ঘটনার তদন্ত করবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত হবে, কার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার আগে নয়।” এদিকে বাপিবাবুকে বহিষ্কার করার পর থেকেই তার বিরোধিতা করতে দেখা গেছে জঙ্গিপুর মহকুমা তৃণমূলের সভাপতি বিকাশ নন্দকে। এদিন তিনি বলেন, “একই ব্যক্তি পঞ্চায়েত প্রধান, অঞ্চল সভাপতি পদে থাকলেও, তাকে এমন পরিস্থিতির মধ্যে সরানোর চেষ্টা ঠিক হয়নি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি আরও জানিয়েছেন, “এই ব্যাপারে দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেও, সমস্ত ঘটনা তাকে জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, এই ব্যাপারে তার সঙ্গে কেউ আলোচনা করেনি। লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে সাংগঠনিক স্তরে কোনো রদবদল করা যাবে না।” যদিও বা বাপিবাবুকে দল থেকে বহিষ্কার করা নিয়ে অন্য যুক্তি দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক আখরুজ্জামান।

এদিন তিনি বলেন, “অঞ্চল সভাপতি বাপি ঘোষ বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে। তাই ব্লকের নেতারা বৈঠকে বসে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।” যদিও বা এই বিষয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে দিয়েছেন সেই বাপি ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, “আমি তৃণমূলের পুরাতন কর্মী আখতারুজ্জামান সেদিন কংগ্রেস ছেড়ে ঢুকেছেন। এখন দলের দুর্দিনের কর্মীদের দল থেকে তাড়াতে চাইছেন। আমি তৃণমূলেই আছি। তৃণমূলের হয়েই কাজ করছি।”

এদিকে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায়, এখন তা নিয়ে পাল্টা ঘাসফুল শিবিরকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির উত্তর মুর্শিদাবাদের সহ-সভাপতি বংশী গড়াই বলেন, “পঞ্চায়েতে ভোট লুট করে জয়ী হন বাপি ঘোষরা। তার সঙ্গে বিজেপির কোনো যোগাযোগ নেই। ভবিষ্যতে বিজেপি তাকে দলেও নেবে না।” সব মিলিয়ে একদিকে দলের পঞ্চায়েত প্রধানকে বহিষ্কার করা, আর অন্যদিকে পঞ্চায়েত প্রধান অনুগামীদের গ্রেপ্তার করা নিয়ে এখন ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে তৃণমূল কংগ্রেস। গোটা পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায়, তার দিকেই এখন নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!