এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > অনুব্রত-গড়ে জল্পনা বাড়িয়ে অব্যাহতি চাইলেন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা! সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

অনুব্রত-গড়ে জল্পনা বাড়িয়ে অব্যাহতি চাইলেন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা! সরগরম রাজ্য-রাজনীতি


স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছুটি চাইলে, তা কাছ থেকে কিছুটা বিরামের জন্যই তারা ছুটি চাইছেন বলে মনে করেন সকলে। কিন্তু রাজনীতিবিদদের কোনো ছুটি নেই। ঝড় হোক, জল হোক, বর্ষা হোক। ছুটি অপেক্ষা ময়দানেই বেশি থাকতে পছন্দ করেন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা। ছুটি নিলেও সেইভাবে ঘোষনা করে ছুটি নিতে দেখা যায় না কোনো রাজনীতিবিদদের।

আর যদি সেরকম কোনো ঘটনা ঘটে, তাহলে নিঃসন্দেহে সেই রাজনীতিবিদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে জল্পনা বৃদ্ধি পাওয়াই স্বাভাবিক। যে জল্পনা এখন বাড়তে শুরু করেছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুকে। সূত্রের খবর, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের বিকাশ রায়চৌধুরী ছয় মাসের জন্য নিজের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন।

যা নিয়ে এখন প্রবল জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে জেলা রাজনীতিতে। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই তিনি ছুটির জন্য চিঠি দিয়ে আবেদন করেছেন। কিন্তু তার এই ছুটির পেছনে মূল কারণ নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। বস্তুত, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের বিকাশ রায় চৌধুরী সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বিধানসভার বুথ ভিত্তিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বোলপুর বিধানসভা ভিত্তিক বুথ সম্মেলনে তাকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেদিন থেকেই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। আর এবার তার ছয় মাস ছুটি নেওয়ার ঘটনা সামনে আসায় জল্পনা আরও বেড়ে গেল। অনেকে বলছেন, তাহলে কি দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করলো বিকাশবাবু? আর তাই কি এবার নিজের পদ থেকে 6 মাস ছুটির আবেদন জানালেন তিনি? একাংশের মতে, কিছুদিন আগেই খয়রাশোল ব্লক তৃণমূলের পর্যবেক্ষক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই বিকাশ রায়চৌধুরীকে।

তারপর তাকে জেলা পরিষদের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে নানা মহলের তরফে দাবি করা হয়েছিল। আর তাই কি এবার খবরের শিরোনাম থেকে আগেই সরে যাওয়ার জন্য টানা ছয় মাসের ছুটি চাইলেন তিনি? এদিন এই প্রসঙ্গে বিকাশবাবু বলেন, “আমার স্ত্রী অসুস্থ। আমার নিজেরও অসুস্থতা রয়েছে। তাই ছয় মাসের জন্য অব্যাহত চেয়ে ছুটির জন্য দলের কাছে আবেদন জানিয়েছি। দল ছুটি মঞ্জুর করেছে। তবে দলের অন্যান্য কর্মসূচিতে থাকব।”

এদিকে এই প্রসঙ্গে বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, “ছয় মাসের জন্য ছুটি চেয়ে সভাধিপতি একটি চিঠি দিয়েছেন। ওই পদে সহ-সভাধিপতি দায়িত্ব নিয়েছেন। ব্যক্তিগত বিষয়ে ছুটি চেয়েছেন বলে চিঠি দিয়েছেন।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে বীরভূম জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি নন্দেশ্বর মণ্ডল বলেন, “আমি মঙ্গলবার সভাধিপতি হিসেবে দায়িত্ব নেব। সভাধিপতি বিকাশবাবু কেন অব্যাহতি নিয়েছেন, তা জানা নেই।”

এদিকে মুখে বিকাশবাবু দলের কাছে ছুটি মঞ্জুর করে নিয়েছেন বলে জানালেও আদতে এর কিছুই জানেন না জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এদিন এই প্রসঙ্গে অনুব্রতবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এই ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।” আর বিকাশবাবু ছুটি নেওয়ার কথা জানালেও জেলা তৃণমূলের সভাপতি এই ব্যাপারে কিছু না জানায়, এখন নানা মহলে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। তাহলে কি দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্যই আগেভাগে ছুটি চেয়ে বসলেন বিকাশ রায় চৌধুরী? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!