এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জল্পনা বাড়িয়ে এক মঞ্চে হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ! জানুন বিস্তারিত

জল্পনা বাড়িয়ে এক মঞ্চে হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ! জানুন বিস্তারিত

 

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির উত্থান দেখার পরই বাংলায় সকল দলকে এক হওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের শত্রু হিসেবে পরিচিত বামফ্রন্টকেও পাশে পাওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল তৃণমূলের সর্বাধিনায়িকার গলায়।

রাজনৈতিক মহলের তরফে এই বিষয়টি তুলে ধরে কেউ কেউ তাঁর চরম নিন্দাও করেছিলেন। তবে বাম এবং কংগ্রেস বরাবরই তৃণমূল এবং বিজেপি তারা দুই দলেরই বিরোধী বলে জানিয়ে এসেছে। কিন্তু যেভাবে রাজ্যে বিজেপির উত্থান ঘটছে, তাতে এবার কার্যত একমঞ্চ থেকেই বিজেপিকে আক্রমণ করতে দেখা গেল তৃণমূল, কংগ্রেস এবং সিপিএমকে।

সূত্রের খবর, শনিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার লালবাজারে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে এনআরসির বিরুদ্ধে বিজেপির উদ্দেশ্যে সরব হন প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাই। জানা যায়, এদিন এনআরসি বিরোধী এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জের প্রাক্তন বাম সাংসদ মহম্মদ সেলিম, তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী, হামিদুল রহমান এবং স্থানীয় কংগ্রেস নেতা ফারাজুল ইসলাম। আর রাজনীতিতে তারা একে অপরের বিরোধী হলেও বিজেপি বিরোধীতার ডাক দিয়ে এক সভায় বাম, তৃণমূল এবং কংগ্রেসের উপস্থিতি রীতিমতো নজর কেড়েছে রাজনৈতিক মহলের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে এনআরসির বিরুদ্ধে সরব হয়ে সিপিএমের মহাম্মদ সেলিম বলেন, “সবচেয়ে বেশি বেকার রয়েছে আমাদের দেশে। দেশের অর্থনীতি চৌপাট হয়ে গিয়েছে। বিজেপি বলেছিল স্মার্ট সিটি বানাবে। কিন্তু হয়নি। সকলকে এখন নথিপত্র দেখাতে বলছে। স্মার্ট ডিটেনশন ক্যাম্প হয়েছে। যাদের জমি নেই, বন্যায় প্রতিবছর বাড়ি ভেসে যায়, তাদের কাছে নথিপত্র চাওয়া হচ্ছে। আমরা বলেছিলাম মোদিজীর পাশের সার্টিফিকেট কোথায়! আজকে সেজন্য মোদীজি সবার সার্টিফিকেট চাইছেন।” একইভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীও।

তিনি বলেন, “আমরা হিন্দু, মুসলিম, শিখ সবাই এক হয়ে থাকব। এনআরসিতে এখন দেশের যা অবস্থা চলছে, সেই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি রক্ষা করা খুবই দরকার। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছেন, এখানে কোনোমতেই এনআরসি হবে না। এনআরসি করে অসমের বিপদ ঘটেছে। এটা দেশের অন্যান্য রাজ্যে হলে মানুষ মেনে নেবে না।” একই কথা বলে বিজেপির বিরুদ্ধে জাতপাত করার অভিযোগ তোলেন তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান।

এদিকে এদিনের সভা মঞ্চ থেকে এনআরসির বিরুদ্ধে সকলকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানান কংগ্রেসের ফারাজুল ইসলাম। তবে তৃণমূল এবং বামফ্রন্টকে বিজেপির বিরোধিতা বা এনআরসি বিরোধিতায় এক মঞ্চে দেখা গেলেও এদিন দুই দলের দুই নেতা একে অপরকে উদ্দেশ্য করে কিছুটা খোচাও দেন। মহম্মদ সেলিম বলেন, “এখানে করিম সাহেব আছেন। আপনার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি করা উচিত, এনআরসির আতঙ্কে রাজ্যে 26 জন লোক মারা গিয়েছে। এর জন্য দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে হবে।”

এদিকে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম এই কথা বলার সাথে সাথেই তার পাল্টা জবাব দেন করিম সাহেব। তিনি বলেন, “এফআইআর সবাই করতে পারে। সেলিম সাহেব কিংবা তার দলও তো এফআইআর করতে পারে।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এনআরসি নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত, ঠিক তখনই উত্তর দিনাজপুর জেলার মাটিতে বাম, কংগ্রেস এবং তৃণমূলের প্রতিনিধিদের এক মঞ্চে বসা এবং বক্তব্য রাখা আদতে বিজেপি বিরোধীতারই সামিল।

একাংশের দাবি, রাজ্যে যেভাবে বিজেপির উত্থান ঘটছে, তাতে বর্তমানে গেরুয়া শিবিরকে আটাকানো মুশকিল। আর তাইতো এনআরসি করে এই তিন দলের প্রতিনিধিরা এক মঞ্চ থেকে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সরব হলেন। কিন্তু এতসব করেও কি তারা সাফল্য পাবেন! তা নিয়ে প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!