এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কংগ্রেসের গড়ে তৃণমূলের চিন্তা আরও বাড়িয়ে বিজেপিতে গেলেন প্রভাবশালী নেতা, ভোটের আগে চড়ছে পারদ

কংগ্রেসের গড়ে তৃণমূলের চিন্তা আরও বাড়িয়ে বিজেপিতে গেলেন প্রভাবশালী নেতা, ভোটের আগে চড়ছে পারদ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দিনকে দিন চাপ বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের। গত লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই উত্তরবঙ্গে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। আর বিধানসভা নির্বাচনের মুখে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সেই তৃণমূল কংগ্রেসকে আরও বেশি করে চাপে ফেলতে শুরু করেছে তারা। দলবদলের মত কর্মসূচি এবং একের পর এক নেতার বিজেপিতে যোগদান নয়া সমীকরণের সৃষ্টি করেছে রাজ্য রাজনীতিতে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী কৃষ্ণ কল্যাণী যোগদান করলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। যার ফলে ঘাসফুল শিবির এখানে অনেকটাই চাপে পড়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, রবিবার রায়গঞ্জ মার্চেন্ট ক্লাব মাঠে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি যোগদান সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ, উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডি সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। আর সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষ্ণ কল্যাণী পদ্মফুল শিবিরে নাম লেখান। জানা যায়, একসময় বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও, পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখান এই হেভিওয়েট নেতা। একবার তিনি রায়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু সেই কৃষ্ণ কল্যাণীর সঙ্গে কিছুদিন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। আর এবার পাকাপাকিভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়ে ঘাসফুল শিবিরের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিলেন তিনি। কেন তিনি হঠাৎ করে বিজেপিতে নাম লেখালেন? এদিন এই প্রসঙ্গে কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, “সাধারণ কর্মী হিসেবে বিজেপিতে যোগদান করেছি। এখন দল যা দায়িত্ব দেবে, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। আমার সঙ্গে আলোচনা না করে তৃণমূলের জেলা কমিটিতে আমার নাম দেওয়া হয়েছিল। কিভাবে এমনটা হল, জানি না। এখন আবার শুনছি, আমাকে নাকি আগেই বহিষ্কার করা হয়েছে। আমাকে কখন যে দল নিল, আর কখন যে বহিষ্কার করল, আমি কিছুই জানি না।”

তবে কৃষ্ণবাবু একথা বললেও গত 17 জানুয়ারি জেলা কমিটির মিটিংয়ে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তবে যে যাই বলুক না কেন, পরিস্থিতি যে ক্রমশ জটিল হতে শুরু করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ছিল এই রায়গঞ্জ তথা উত্তর দিনাজপুর জেলা। কিন্তু ধীরে ধীরে এখন সেখানে মাথা তুলতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এবার তৃণমূলের ঘর ভেঙে তাদের হেভিওয়েট নেতাকে বিজেপি যেভাবে নিজেদের দিকে টেনে নিল, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস যে যথেষ্ট বেকায়দায়, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!