এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপিকে তোপ দাগতে ডাকা সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় বিধায়কেরই সমালোচনা প্রভাবশালী তৃনমূল নেতার

বিজেপিকে তোপ দাগতে ডাকা সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় বিধায়কেরই সমালোচনা প্রভাবশালী তৃনমূল নেতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বারবার দলীয় কোন্দল বন্ধ করতে কড়া বার্তা দেওয়া হচ্ছে। নিজেদের ভেতরের দ্বন্দ্বকে বন্ধ করতে ইতিমধ্যেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তৃনমূলের গোষ্টী কোন্দল এখন চরম আকার ধারন করেছে। দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করা অপেক্ষা এখন বিজেপিকে মোকাবিলা করতে গিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ল ঘাসফুল শিবির। সূত্রের খবর, রতুয়া 1 ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ফজজুল হক একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন।

আর এই সাংবাদিক বৈঠক বিজেপির বিরুদ্ধে হলেও, ফজজুলবাবু সেখানে তৃনমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমন শানিয়েছেন। সূত্রের খবর, রবিবার সামসিতে রতুয়া 1 ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। যেখানে ব্লক সভাপতি সরাসরি বিধায়কের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তোলেন। তিনি বলেন, “দল যদি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সমরবাবুকে রতুয়া কেন্দ্রে প্রার্থী করলে দলের ভরাডুবি হবে।” আর দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্লক সভাপতির এই মন্তব্য এখন তৃনমূলকে ব্যাপক অস্বস্তিতে ফেলে দিল বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে ফজজুল হক একথা বললেও, তির পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃনমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “ব্লক সভাপতি ফজজুল হক নন‌। তাই তিনি কি বললেন, তাতে কিছু এসে যায় না। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রতুয়ায় কে প্রার্থী হবেন, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন। দল যাকে মনোনীত করবে, তিনিই দলের প্রতীকে লড়বেন। আমি বিধায়ক হিসাবে মানুষের পাশে আছি কি না, সেটা এলাকার জনগন বলবে।” আর তৃনমূলের দুই হেভিওয়েট নেতা একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় এখন চরম অস্বস্তিতে পড়েছে তৃনমূল কংগ্রেস।

পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নেমেছেন জেলা তৃনমূলের সভানেত্রী তথা সাংসদ মৌসম বেনজির নূর। এদিন তিনি বলেন, “সাংবাদিক সম্মেলনে ফজজুল হক কি বলছেন, জানা নেই। বিষয়টি খোজ নিয়ে দেখছি। দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে যদি তিনি কিছু বলেন, তবে সেটা ঠিক নয়।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বারবার বলা হচ্ছে দলের গোষ্টীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে। কিন্তু তারপরেও কোনো ব্লক সভাপতি দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে যেভাবে সরব হলেন, তাতে ঘাসফুল শিবিরের অস্বস্তি বহুগুনে বৃদ্ধি পেল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!