এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “যেদিন গেছে, তা কি একেবারেই গেছে!” তৃণমূলের হেভিওয়েট নেত্রীর কথায় জোর জল্পনা

“যেদিন গেছে, তা কি একেবারেই গেছে!” তৃণমূলের হেভিওয়েট নেত্রীর কথায় জোর জল্পনা

লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 42 এ 42 এর স্লোগান তুলেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। উল্টে 22 টি আসন দখল করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে। অন্যদিকে 18 টা আসন পেয়ে বিজেপি তৃণমূলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে। যা নিঃসন্দেহে তৃণমূলের কাছে চিন্তার কারণ।

আর এই পরিস্থিতিতে দলকে যখন প্রতিনিয়ত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তখনই তাঁর অস্বস্তি বাড়িয়ে দিকে দিকে বিভিন্ন হেভিওয়েট নেতা, বিধায়ক, কাউন্সিলররা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন। ক্রীড়াক্ষেত্র থেকে সিনেমা জগৎ, ক্লাবের চৌহদ্দি – প্রায় সব জায়গাতেই বিজেপি তাদের বিস্তার বাড়াতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, শুক্রবার কলকাতার ত্রিধারা সম্মিলনীতে খুঁটিপুজো অনুষ্ঠিত হয়।

যেখানে বিশিষ্ট অভিনেতা, অভিনেত্রীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আর সেখানেই চন্দ্রিমাদেবীর গলায় শোনা যায় এক ভিন্ন সুর। এদিন তিনি বলেন, “আমাদের যেদিন গেছে, সেদিন একেবারেই কি গেছে! না, আমাদের সব তারা আছে। দিনের আলোর গভীরে।” আর রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রির কথায় এবার ছড়িয়ে পড়েছে জল্পনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সংগঠনকে পরিবর্তন করে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বললেও তাঁর সঙ্গীসাথীরা বোধহয় ক্রমশই ভরসা হারাচ্ছেন! আর তাই কি চন্দ্রিমাদেবীর মত হেভিওয়েট নেত্রীর বক্তব্যে এই ধরনের কথা শোনা গেল! তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের এই ধরনের কথায় দুই ধরণের ইঙ্গিত রয়েছে।

ইতিবাচক দিক থেকে দেখলে রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী বাংলায় বর্তমানে বিজেপি যে রামের সংস্কৃতি এনেছে, তাকেই খোঁচা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আর তাই সুদিন যায়নি, সকলে এক হলেই দুর্দিন মিটবে বলে ইঙ্গিত দিতে দেখা গেছে তাঁকে। অন্যদিকে সমালোচক মহলের একাংশ বলছেন, চন্দ্রিমাদেবী রাজ্যে বিজেপির উত্থানকেই এখানে বড় করে দেখাতে চেয়েছেন।

আর তাই রবি ঠাকুরের এই কবিতার মধ্যে দিয়ে তার দলের শক্তিক্ষয় হয়েছে, এই কথাই প্রকাশ করার চেষ্টা করলেন তিনি। তবে নানা মুনির নানা মত থাকলেও, রবি ঠাকুরের এই কবিতা তুলে ধরে দুর্গাপুজোর খুঁটি পুজোতে গিয়ে ঠিক কি বোঝাতে চাইলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং তাঁর এই বক্তব্যের পর তাঁর গতিবিধি ঠিক কোন দিকে যায়, এখন সেদিকেই নজর সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!