এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বামফ্রন্ট > হেরে গিয়েও বিরাম নেই, যশকে আটকে দিতে সুন্দরবনকে আগলে কান্তি!

হেরে গিয়েও বিরাম নেই, যশকে আটকে দিতে সুন্দরবনকে আগলে কান্তি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   দীর্ঘদিন রায়দিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তিনি। তবে জনপ্রতিনিধি থাকা হোক বা না থাকা, যখনই সুন্দরবনে আয়লা থেকে শুরু করে আম্ফান আছড়ে পড়েছে, তখনই বিপদের ত্রাতা হিসেবে এগিয়ে এসেছেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়ার সাথে সাথেই বিগত দিনে যেমন সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে, ঠিক তেমনই এবার জয়লাভ করতে না পারলেও, “ইয়াস” আছড়ে পড়ার আগে মানুষকে সতর্ক করতে কার্যত ময়দানে নেমে পড়লেন সকলের প্রিয় কান্তিবুড়ো। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের বিরুদ্ধে তিনি যে সম্পূর্ণরূপে তৈরি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়।

যার জেরে একাংশ বলছেন, ঝড় আর কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় কার্যত সমার্থক শব্দ হয়ে গিয়েছে সুন্দরবন সহ উপকূলবর্তী এলাকায়। বিগত দিনে জনপ্রতিনিধি থাকার সময় তিনি যেভাবে মানুষকে নিজের মত করে আশ্রয় দিয়েছেন এবং বিপদ থেকে বাঁচিয়েছেন, এবারেও জনপ্রতিনিধি না থাকা সত্ত্বেও “ইয়াস” আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস আসার সাথে সাথেই মানুষের পাশে থাকতে ময়দানে নেমে পড়লেন তিনি। যাকে স্বাগত জানাচ্ছেন সুন্দরবন এলাকার মানুষ।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ফেসবুকে সাধারণ মানুষের কাছে একটি আবেদন করেছেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। যেখানে মানুষের আশ্রয় নিশ্চিত করার বার্তা দিতে দেখা গেছে তাকে। ফেসবুকে তিনি লেখেন, “ফ্লাড সেন্টারে মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার আগে দেহের তাপমাত্রা দেখে নেওয়া হোক এবং অসুস্থ সাধারণ মানুষের জন্য আলাদা আশ্রয় তৈরি করা হোক, যাতে গ্রামে করোনা ছড়িয়ে না যায়। মানুষ পানীয় ও দরকার পড়লে বৃষ্টির জল যেন জমা করে রাখেন। কারণ বাঁধ ভাঙলে নোনা জল পানের অযোগ্য।”

অর্থাৎ দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় এবারের ভয়াবহ দুর্যোগের আগেও মানুষের পাশে থাকতে কার্যত বদ্ধপরিকর। জনপ্রতিনিধি না থাকলেও তিনি যে সমাজসেবক হিসেবে ঝড় আসলেই কার্যত মানুষের পাশে থাকতে ঝাঁপিয়ে পড়েন, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন বর্ষিয়ান এই বাম নেতা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিপদের সময় মানুষের পাশে মানুষ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। প্রতিবার নির্বাচনের রায়দিঘি এলাকায় জয়লাভ করেছেন সিপিএমের কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু এবার তার জয় সম্ভব হয়নি। তবে বিধায়ক না হয়েও যে মানুষের পাশে থেকে সমাজসেবামূলক কাজ করা যায়, তা “ইয়াস” আছড়ে পড়ার আগে কার্যত বুঝিয়ে দিলেন সকলের প্রিয় কান্তিবুড়ো। শরীরে বার্ধক্যের ছাপ লেগেছে। হাঁটাচলা করতে কিছুটা হলেও অসুবিধা হয়।

কিন্তু তা সত্ত্বেও ধুতি-ফতুয়া পড়ে প্রতিবার মানুষের পাশে থাকতে দেখা গেছে তাকে। আম্ফান, আয়লার মত বিধ্বস্ত ঝড়ের মুখোমুখি হয়ে অতীতে সুন্দরবনের মানুষকে আশ্রয় দিয়েছেন তিনি। আর “ইয়াস” আছড়ে পড়ার আগে তিনি যে সুন্দরবনের এই ঝড়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কার্যত তৈরি, সেই কথা বলেই বিপদের দিনে মানুষকে আশ্বস্ত করলেন বর্ষিয়ান সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!