এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হেস্টিংসের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে আরও এক বিজেপি হেভিওয়েট অনুপস্থিত, জল্পনা তুঙ্গে

হেস্টিংসের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে আরও এক বিজেপি হেভিওয়েট অনুপস্থিত, জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টগতকাল ছিল বিজেপির কার্যকারিণী বৈঠক। এবং এই বৈঠক নিয়ে সকাল থেকেই উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। কারণ এই বৈঠকে কারা যোগদান করবেন, সে দিকে ছিল কড়া নজর। পাশাপাশি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বৈঠকে যোগদান করা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন ছিল। কিন্তু এসবের মধ্যেই আরও একজন বিজেপি নেতা  বৈঠক এড়িয়ে গেলেন। আর আই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। বিজেপিতে এসে তিনি উত্তরপাড়া থেকেই লড়াইয়ে নেমেছিলেন এবং যথারীতি হেরে যান। এরপর থেকেই তিনি বেসুরো হতে শুরু করেন বিজেপিতে।

একটা সময় যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুভ্রাংশুর মাকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছান এবং যথারীতি শুভ্রাংশু ও অভিষেকের সখ্যতা সামনে আসে, ঠিক সেসময় প্রবীর ঘোষালও দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, তাঁর মাতৃবিয়োগের পর দলের কেউ খোঁজ নেননি, এমনকি দিলীপ ঘোষের দিকেও তিনি অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন। পাশাপাশি মমতা ব্যানার্জ্জী ও অভিষেক ব্যানার্জ্জীর ভূয়সী প্রশংসা করেন তাঁর খোঁজখবর নেওয়ার জন। এই সমস্ত পরিস্থিতি দেখে বারংবার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রবীর ঘোষাল এবার পুরনো দলে ফিরে যেতে আগ্রহী। তবে এখনো পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে প্রবীর ঘোষালকে নিয়ে কিছুই বলা হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে গতকালকের বৈঠকে অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে প্রবীর ঘোষাল জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে বৈঠকে যোগ দেননি। যদিও রাজনৈতিক মহলের অলিন্দে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। অনেকেই বলছেন, ইচ্ছাকৃতভাবেই ব্যক্তিগত সমস্যার অবতারণা করলেন উত্তরপাড়ার বিজেপি প্রার্থী। কারণ দলের সঙ্গে তিনিও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতনই দূরত্ব বজায় রাখতে আগ্রহী। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন স্পষ্টভাবে যেসব নরমপন্থী নেতা ফিরে আসতে আগ্রহী, তাঁদেরকে ফেরানোর বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। কিন্তু নির্বাচনের আগে টাকা নিয়েছেন বা দলের বিরুদ্ধে কুৎসা করেছেন যারা তাদেরকে কোনভাবেই আর দলে ফেরানো হবেনা।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী তাঁদেরকে গদ্দার বলেও অভিহিত করেছেন। তবে বরাবর দেখা গেছে প্রবীর ঘোষাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিজেপিতে এসেও তিনি নেত্রীর বিরুদ্ধে কখনো মুখ খোলেননি। তাই প্রবীর ঘোষাল তৃণমূলে ফেরার ব্যাপারে কতটা এগিয়ে থাকছেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে,  বৈঠক গেরুয়া শিবিরের জন্য নতুন অস্বস্তি তৈরি করল। স্পষ্ট বোঝা গেল, দলের বেশ কিছু হেভিওয়েট দূরত্ব বাড়িয়ে বিজেপি থেকে সরে আসতে চাইছেন। এই অবস্থায় গেরুয়া শিবির কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে আগামী দিনে, সেটাই এখন দেখার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!