এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > হেভিওয়েট বিধায়কের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ, ব্যাপক চাপে তৃণমূল! সরগরম উত্তরবঙ্গ!

হেভিওয়েট বিধায়কের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ, ব্যাপক চাপে তৃণমূল! সরগরম উত্তরবঙ্গ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  এবার সরকারি জমি জবরদখল করার অভিযোগ উঠল রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের বিরুদ্ধে। যেখানে রীতিমতো সরকারি জমিতে নিজের বিধায়ক কার্যালয় গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। স্বাভাবিকভাবেই এই অভিযোগকে সামনে এনে এখন তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলার বিরুদ্ধে এই রকমই সরকারি জায়গা জবরদখল করার অভিযোগ উঠেছিল। যাকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবার রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সরকারি জমিতে জনসংযোগ কার্যালয় খোলার অভিযোগে পাল্টা বিজেপির পক্ষ থেকে ময়দানে নামা নাম হলো। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে শাসক শিবির বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের পক্ষ থেকে সরকারি জমিতে একটি স্থানীয় জনসংযোগ কার্যালয় খোলা হয়েছে। আর তারপরেই এই বিষয় নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজগঞ্জ উত্তর মণ্ডলের বিজেপি প্রাক্তন সভাপতি দেবাশিস দে বলেন, “আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ সরকারি জমিতে অবৈধভাবে দলীয় কার্যালয় নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। অথচ রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সরকারি জমিতে একের পর এক দলীয় কার্যালয় নির্মাণ করছেন। রাজ্যের ক্ষমতায় থেকে সরকারি জমি দখল করছে তৃণমূল। কি করে একটি দল ক্ষমতায় থেকে সরকারি জমিতে দলীয় কার্যালয় খুলতে পারে? অবিলম্বে এই নিয়ে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও বা এই বিষয়ে তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়। এদিন তিনি বলেন, “এটা জেলা পরিষদের বা পূর্ত দপ্তরের কোনো জমি নয়‌। এটা বেসরকারি জমি। যদি জেলা পরিষদ মনে করে যে এটা তাদের জায়গা, তবে আমরা দলীয় কার্যালয় ভেঙে দেব।” স্বাভাবিকভাবেই এই গোটা বিষয়টি কেন্দ্র করে তৃণমূল এবং বিজেপির রাজনৈতিক তরজা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দলীয় নেতা কর্মীদের সচেতন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 2021 সালে তৃতীয় বারের জন্য বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর যাতে কেউ কোনো অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত না থাকে, তার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে বারবার বার্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই বার্তা দেওয়ার পরেও রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখল করে দলীয় কার্যালয়ে গড়ে তোলার অভিযোগ রীতিমতো নজিরবিহীন। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপির পক্ষ থেকে এখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে ময়দানে নামা হয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাপে পড়ে গিয়েছে ঘাসফুল শিবির। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!