এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হেভিওয়েট বিজেপি বিধায়কদের তৃণমূলে যোগ? বিস্ফোরক সৌগত, চাপে বিজেপি!

হেভিওয়েট বিজেপি বিধায়কদের তৃণমূলে যোগ? বিস্ফোরক সৌগত, চাপে বিজেপি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে দলবদলের দিক থেকে পাল্লা ভারী ছিল ভারতীয় জনতা পার্টির। প্রতিনিয়ত তৃণমূল থেকে হেভিওয়েট নেতা নেত্রীরা যোগদান করতে শুরু করেছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। তবে এই সমস্ত নেতা, নেত্রীরা যে শুধুমাত্র বিজেপি ক্ষমতায় আসবে, সেই আশাতেই গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছিলেন, তা মে মাসের 2 তারিখে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলাফলে বিজেপির স্বপ্ন পূর্ণ হয়নি। তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপরেই বেসুরো হতে শুরু করেছেন ভোটের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া হেভিওয়েট নেতা, নেত্রীরা।

ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন মুকুল রায়ের মত হেভিওয়েট নেতা। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বিজেপির অনেক সাংসদ থেকে শুরু করে বিধায়করা শাসক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তবে ভোটের আগে যারা বিজেপিতে গিয়ে নাম লিখিয়েছিলেন এবং বর্তমানে যারা বিজেপির বিধায়ক, তাদেরকে যে খুব সহজে দলে গ্রহণ করা হবে না, তা ইতিমধ্যেই বুঝিয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এক্ষেত্রে ঝাড়াই-বাছাই পর্বের মধ্য দিয়েই যে তৃণমূল দলে গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবে, তা একপ্রকার পরিষ্কার।

আর এই পরিস্থিতিতে এতদিন এই গোটা বিষয়টি নিয়ে আড়ালে-আবডালে আলোচনা হলেও, এবার সেই ব্যাপারে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেল বর্ষিয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে। যেখানে একাধিক বিজেপি বিধায়ক তাদের দলে আসার জন্য যোগাযোগ শুরু করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই সৌগতবাবুর মত বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যের যদি সামান্য বাস্তবতা থেকে থাকে, তাহলে ভারতীয় জনতা পার্টির চাপ যে দ্বিগুণ মাত্রায় বাড়তে শুরু করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সূত্রের খবর, এদিন বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, “বিজেপির নবনির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে অর্ধেকের বেশিরভাগ বিধায়ক তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন‌। তারা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।” আর এরপরেই তাদের দলে নেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়ে দিয়েছেন হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদ। অর্থ্যাৎ সৌগত রায়ের কথা অনুযায়ী, বিজেপিতে বেসুরোদের পরিমাণ বাড়ছে। এমনকি বিজেপির সিংহভাগ বিধায়করাই বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসে আসতে চেয়ে যোগাযোগ শুরু করেছেন বলেই বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন এই বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপির পৌরসভা অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্দুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় গেরুয়া শিবিরের অন্যতম বিধায়ক বিশ্বজিৎবাবুকে সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি‌। পাশাপাশি কিছুদিন আগেই বিধানসভায় কিভাবে বিধায়কদের কাজকর্ম করতে হবে, তা নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে ছয়জন বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন বলে খবর। স্বাভাবিকভাবেই তাদের নিয়ে জল্পনা চরম আকার ধারণ করেছিল। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের এই মন্তব্য বিজেপি চিন্তা যে আরও বাড়িয়ে দিল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের লড়াই খুব একটা সহজ ছিল না তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। তবে তা সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে শাসক দল। আর তারপরেই ভোটের আগে যারা তৃণমূলে অপমানিত হয়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন, তারা আবার তৃণমূলে ফেরার রাস্তা প্রশস্ত করার চেষ্টা করছেন। যদিও বা তাদের ব্যাপারে দল যে নমনীয় মনোভাব পোষণ করবে না, তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির একাধিক বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে যোগাযোগ রাখছেন বলে সৌগত রায়ের দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তবে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেই যে বিজেপি বিধায়কদের দলে গ্রহণ করা হবে না, সেই কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন এই বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা।

এক্ষেত্রে দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঝাড়াই-বাছাই পর্ব যে থাকবে, তা সৌগত রায়ের মত নেতার বক্তব্য থেকেই কার্যত স্পষ্ট। অর্থাৎ আগের মত দলে যোগদান করতে চাইলেই যে তৃণমূল সকলকে দলে গ্রহণ করবে না, সেই ব্যাপারটি পরিষ্কার হয়ে গেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা‌। সেদিক থেকে সৌগত রায়ের মন্তব্য যদি বাস্তব হয় এবং বিজেপি বিধায়করা যদি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তাহলে কাদের কাদের গ্রহণ করতে সবুজ সঙ্কেত দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব এবং তার ফলে কতটা চাপে পড়ে ভারতীয় জনতা পার্টি, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!