এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > হেভিওয়েট বিজেপি নেতার রহস্য মৃত্যু! ভোট-পরবর্তী হিংসা অব্যাহত রাজ্যে!

হেভিওয়েট বিজেপি নেতার রহস্য মৃত্যু! ভোট-পরবর্তী হিংসা অব্যাহত রাজ্যে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে হিংসার ঘটনা ক্রম- বর্ধমানভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ ভারতীয় জনতা পার্টির। এক্ষেত্রে প্রায় প্রতিটি জেলা থেকেই তাদের ব্যাপক কর্মী সমর্থকরা ঘরছাড়া হয়েছেন বলে খবর আসছে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। আর সেই অভিযোগকে হাতিয়ার করে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমাগত সরব হতে দেখা যাচ্ছে গেরুয়া শিবির।

আর এবার কোচবিহার জেলায় এক বিজেপি কর্মীর রহস্য মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল। যেখানে মূল অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। স্বাভাবিক ভাবেই ভোটের আগে থেকে যে কোচবিহার জেলা উত্তপ্ত হতে শুরু করেছিল, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরেও সেই কোচবিহার জেলায় যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ এবং হত্যালীলা থামছে না, তা এই ঘটনা থেকে আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িতে ছিলেন না বিজেপি কর্মী অনিল বর্মন। তবে সমপ্রতি তিনি নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন। কিন্তু রবিবার রাতের পর থেকেই তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আর এরপরেই সোমবার ভোরে নিজের বাড়ির সামনে সেই বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। যার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপির দাবি, এই গোটা ঘটনার পেছনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত। সেই বিজেপি কর্মীকে জোর করে আত্মহত্যা করানো হয়েছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।

যদিও বা তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, “অনিল বর্মন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তাই হয়ত আত্মহত্যা করেছেন।” তবে তৃণমূল বিধায়কের এই অভিযোগকে মানতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে সাত সকালের বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ নিয়ে এখন রহস্য তৈরি হয়েছে গোটা কোচবিহার জেলা জুড়ে।

অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে রীতিমত জেরবার দুই শিবির। তবে তদন্তের পর গোটা ঘটনার সত্যতা হিসেবে কি উঠে আসে, তা অবশ্যই লক্ষণীয় বিষয়। তবে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই যেভাবে হিংসার ঘটনা বাড়তে শুরু করেছে কোচবিহার জেলায়, তাতে অবিলম্বে যদি এই হত্যার পেছনে রাজনৈতিক কারণ থাকে, তাহলে পুলিশ, প্রশাসনকে আরও বেশি করে সচেষ্ট হওয়া উচিত বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!