এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > হেভিওয়েট সিপিএম বিধায়কের বাড়িতে তৃণমূল নেতা! বাড়ছে জল্পনা!

হেভিওয়েট সিপিএম বিধায়কের বাড়িতে তৃণমূল নেতা! বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার রাজনীতিতে এখন দলবদল সবথেকে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শাসকদলের কোনো নেতার সঙ্গে বিরোধী দলের কোনো নেতাকে দেখা গেলেই তৈরি হচ্ছে দলবদলের জল্পনা। প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল চেষ্টা করছে নিজেদের দিকে ভিড় বাড়ানোর। সেই মত করে তৃণমূল থেকে বিজেপি প্রতিটি রাজনৈতিক দল একে অপরের ঘর ভাঙতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার জল্পনা বাড়িয়ে দিয়ে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে রবিবার সাতসকালে শিলিগুড়ির সিপিএম বিধায়ক অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্যের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার। স্বাভাবিকভাবেই যে অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গে আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক জেলা তৃণমূল সভাপতির, সেখানে অশোকবাবুর বাড়িতে তার উপস্থিতি নিয়ে এবার তৈরি হয়েছে গুঞ্জন।

অনেকে বলছেন, নির্বাচনের আগে এটা তৃণমূলের পক্ষ থেকে চমক দেওয়া হল। এক্ষেত্রে সিপিএম বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে তৃণমূলের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড পৌঁছে দিয়ে কার্যত জেলা রাজনীতিতে শোরগোল তুলে দেওয়ার চেষ্টা করল ঘাসফুল শিবির বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃণমূলের বঙ্গধ্বনী যাত্রার পাশাপাশি গত 10 বছরে রাজ্য সরকার কেমন কাজ করেছে, তার একটি রিপোর্ট কার্ড মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা।

এদিন শিলিগুড়ি পৌরসভার কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডে বঙ্গধ্বনী যাত্রা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রঞ্জন সরকার। জানা যায়, এই ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা শিলিগুড়ি সিপিএম বিধায়ক অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্য। সকাল বেলা কর্মসূচি করতে করতে তার বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই রিপোর্ট কার্ড নিয়ে সেই অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্যের বাড়িতে প্রবেশ করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, অশোকবাবু প্রচারের কাজে বাইরে থাকার কারণে তার সহধর্মিণীর হাতে সেই রিপোর্ট কার্ড তুলে দেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। তাদের দুজনের শরীরের খোঁজখবর নিতে দেখা যায় এই তৃণমূল নেতাকে। অর্থাৎ রাজ্য রাজনীতিতে যখন একে অপরের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শুরু করেছে, তখন শিলিগুড়ি জেলা রাজনীতিতে তৃণমূলের এই উদ্যোগ কিছুটা হলেও সৌজন্যের আবহ তৈরি করল বলে দাবি করছেন একাংশ।

তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সিপিএম বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে রিপোর্ট কার্ড দেওয়া হলেও, তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সেই অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্য। এদিন তিনি বলেন, “মাছের সঙ্গে জলের সম্পর্কের মতোই আমাদের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক। আর তৃণমূল যা করছে, তা শুধুমাত্র লোক দেখানোর জন্য।” যদিও বা অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্যের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার। এদিন তিনি বলেন, “উনি নিজেই এবার ডুবছেন। শিলিগুড়ির মানুষ আওয়াজ তুলেছেন। কোরামিন দিয়েও বাঁচানো যাচ্ছে না। উনি আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তাই ওনার সুস্থতা কামনা করছি। সকলে স্বাস্থ্যসাথীর অন্তর্ভুক্ত হোক, তাই চাই।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচনের আরও বেশ কয়েক মাস দেরি আছে। কিন্তু তার আগে শিলিগুড়িতে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়ে গেল সিপিএম এবং তৃণমূলের মধ্যে। যেভাবে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট কার্ড সরাসরি সিপিএম বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি, তাতে নিঃসন্দেহে শোরগোল পড়ে গেল শিলিগুড়ি জেলা রাজনীতিতে। সবমিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!