এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পদ হারালেন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী, দ্বায়িত্ব পেলেন অন্য হেভিওয়েট নেতা,জোর শোরগোল রাজ্যজুড়ে

পদ হারালেন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী, দ্বায়িত্ব পেলেন অন্য হেভিওয়েট নেতা,জোর শোরগোল রাজ্যজুড়ে

তিনি দক্ষ সংগঠক। শিলিগুড়ির তৃণমূলের মাথাও ছিলেন তিনি। দলের জন্মলগ্ন থেকেই শিলিগুড়িতে তার ওপর ভরসা রেখেছিল তৃণমূল। আর এহেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তথা রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবকে এবার দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিল ঘাসফুল শিবির। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রবল গুঞ্জন শুরু হয়েছে সব মহলে।

সূত্রের খবর, এদিন দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকে গৌতম দেবকে সরিয়ে সেখানকার দায়িত্ব দেওয়া হয় রঞ্জন সরকারকে। আর দলীয় স্তরে এই রদবদলের কথা জানান দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। কিন্তু হঠাৎ কেন এই বড় মাপের রদবদল!

সূত্রের খবর, সোমবার কলকাতায় রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। আর সেখানেই মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেছেন গৌতম দেব। আর সেখানেই নাকি তিনি নতুন প্রজন্মের দায়িত্ব দিয়ে জেলার সংগঠনকে কাজে লাগানোর ব্যাপারে তৃণমূল নেত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন বলে খবর।

আর এরপরই সেই বৈঠকে উপস্থিত রাজ্য মন্ত্রীসভার প্রবীণ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের দায়িত্ব শিলিগুড়ি পৌরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকারকে দেওয়া হোক বলে জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সভাপতি পদ থেকে গৌতম বাবুকে সরিয়ে দেওয়া হলেও আগামী পৌরসভা নির্বাচনে সেই গৌতম দেবকে সামনে রেখেই লড়াইয়ের ময়দানে ঝাঁপাতে চায় ঘাসফুল শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়াও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার কোর কমিটির চেয়ারম্যানের পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমে কিভাবে তৃণমূলের সংগঠনকে বৃদ্ধি করা যায়, তার জন্য সেই গৌতম দেবকে বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে খবর। কিন্তু দার্জিলিং জেলায় হঠাৎ তৃণমূলের এই রদবদল রীতিমতো আশ্চর্য করে দিচ্ছে অনেককেই।

সত্যিই কি গৌতমবাবু নিজে থেকেই তার পদ ছাড়ার কথা নেত্রীকে বলেছেন, নাকি ভেতরে ভেতরে অন্য কোনো জটিলতা তৈরি হয়েছে! এখন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা চুলচেরা বিশ্লেষন শুরু হয়েছে। তবে এদিন এই প্রসঙ্গে গৌতম দেব বলেন, “উত্তরবঙ্গে কোর কমিটির দায়িত্বে আছি। সেখানে অনেক কাজ করতে হচ্ছে। নতুনদের দায়িত্ব দেওয়া জরুরি। তাছাড়া দলে দ্বিতীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব তৈরি করা প্রয়োজন। দলের ভেতরের কথা নিয়ে বাইরে কিছু বলবো না। তবে নেত্রী আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, সেটা যথাযথভাবে পালন করাটাই আমার লক্ষ্য।”

এদিকে নতুন দায়িত্ব পেয়ে এদিন এই প্রসঙ্গে রঞ্জন সরকার বলেন, “সাংগঠনিক দুর্বলতার জন্যই আমরা শিলিগুড়িতে হেরেছি।” সব মিলিয়ে বাইরে থেকে সব কিছু ঠিকঠাক মনে হলেও শিলিগুড়ি নিয়ে তৃণমূলের এহেন সিদ্ধান্ত অদূর ভবিষ্যতে কোনো প্রভাব ফেলে কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!