এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মুর্শিদাবাদের ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য রাজ্যকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন এই হেভিওয়েট নেতা, জেনে নিন বিস্তারিত

নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মুর্শিদাবাদের ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য রাজ্যকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন এই হেভিওয়েট নেতা, জেনে নিন বিস্তারিত

 

সম্প্রতি সংসদের দুই কক্ষে পাস হয়েছে নাগরিকত্ব বিল। আর এই নাগরিকত্ব বিল পাস হওয়ার পরেই তাতে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। যার ফলে সেই বিল এখন আইনে পরিণত হয়ে গিয়েছে। এদিকে এই নাগরিকত্ব আইন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরেই শুক্রবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কোথাও রেল অবরোধ, আবার কোথাও বা বাস অবরোধ করে বিক্ষোভ সংগঠিত হতে দেখা যায়।

সব থেকে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয় পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে পথ অবরোধ, আবার কখনও বা স্টেশন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম থেকে এই বিলের বিরোধিতা করা হয়েছিল ঠিকই।

তবে সেই বিরোধিতা যাতে গঠনমূলক হয়, তার জন্য বিক্ষোভকারীদের গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও যতদিন গিয়েছে, ততই মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আর এমতাবস্তায় মুর্শিদাবাদের এই অশান্ত পরিস্থিতির জন্য রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকেই দায়ী করলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন এই বিক্ষোভের ভয়াবহতা যে সমস্ত জায়গায় ছড়িয়েছে, সেই কাশিমবাজার, বেলডাঙ্গা, রেজিনগর সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন অধীরবাবু। আর সেখানেই সাধারন মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি। আর তারপরই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তো কড়া বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু সেটা কি মুর্শিদাবাদের জন্য নয়! নাকি এখানকার প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনছে না! মুখ্যমন্ত্রীকে বলছি, আপনি প্রশাসনকে সরিয়ে আমাদের দায়িত্ব দিন। দেখুন, মুর্শিদাবাদের সমস্যা মিটে যাবে।”

এদিকে এই নাগরিকত্ব বিল সংসদে পাস এর সময় তৃণমূলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, “এই বিল পাসের সময় তৃণমূলের 8 জন সাংসদ কেন অনুপস্থিত থাকল, সেটা কি কেউ বোঝেনি! সেই কারণেই তিনি এখানে ক্ষোভে প্রলেপ দিচ্ছেন। এখানে যা ঘটেছে, তার তদন্ত হওয়া উচিত বলে আমার মনে হয়।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, মুর্শিদাবাদে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে সকলের কাছেই চিন্তার কারণ। প্রথম থেকেই রাজ্যের শাসক দল এই অশান্তির পরিস্থিতি দমন করতে চেষ্টা চালালেও, তা কোনোমতেই থামছে না। তাই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রশাসনের ওপর বিরোধীরা প্রশ্ন তুলবে এটাই স্বাভাবিক।

আর তাই সেদিক থেকে একদিকে নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা, আর অন্যদিকে অশান্তির আগুন আমার জন্য এবার রাজ্যের প্রশাসন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!