এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার পুকুর ভরাটে অভিযুক্ত তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা, জোর অস্বস্তি শাসকদলে!

এবার পুকুর ভরাটে অভিযুক্ত তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা, জোর অস্বস্তি শাসকদলে!

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টিকে বেশি করে সমর্থন করেছে বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। আর দলের নেতাদের একাংশের দুর্নীতি বৃদ্ধির কারণেই যে দল অস্বস্তিতে পড়েছে, তা বুঝতে বাকি ছিল না তৃণমূল নেতৃত্বের। আর তাইতো লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পরেই দলের সকলস্তরের নেতাদের দুর্নীতি বন্ধ করতে কড়া নির্দেশ দিয়েছিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু বাস্তবে যে এখনও পর্যন্ত দলের নেতা-নেত্রীরা সেই দুর্নীতিতেই ডুবে রয়েছেন, তা ফের প্রকাশ্যে চলে এল।

সূত্রের খবর, সরকারি নিয়মকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এবার পুকুর ভরাট চলছে রাজারপুর-সোনারপুর পৌরসভার 26 নম্বর ওয়ার্ডে। আর এই বেআইনি কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে, খোদ 26 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর টুম্পা দাসের স্বামী বিজন দাসের।

শুধু তাই নয়, এই রাজারপুর-সোনারপুর পৌরসভার মহামায়াতলা অফিসের বড়বাবু তথা এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় সেনগুপ্ত এবং এলাচি রামচন্দ্রপুর মিলন সংঘেরও এই বেআইনি কাজের সঙ্গে নাম জড়িয়ে পড়েছে। যাতে নিঃসন্দেহে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। জানা যায়, প্রশাসনের নথিতে এই ক্লাবের ওই পুকুরটি 127 নম্বর দাগে রয়েছে।

এদিন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় যে, বড় বড় লরি করে সেই জলা ভরাটের জন্য সেখানে মাটি ফেলা হচ্ছে। যার ফলে পুকুরের অনেকটা অংশ ইতিমধ্যেই মাটির তলায় চলে গিয়েছে। আর জলাজমি ভরাট আইন বিরুদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও, যেভাবে এই ঘটনায় তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী এবং একটি ক্লাবের নাম জড়িয়ে পড়ল, এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের মতে, তৃণমূলের লোকজন এই ঘটনায় জড়িত থাকার কারণেই মানুষ সেইভাবে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস দেখাচ্ছেন না। কিন্তু যেখানে সরকারের প্রধান ব্যক্তি থেকে শুরু করে দলের প্রধানব্যক্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলাভূমি ভরাটের ব্যাপারে সকলকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন, সেখানে কেন তার দলের কাউন্সিলারের স্বামী এই ধরনের আইন বহির্ভূত কাজ করছেন! এতে তো আদতে তৃণমূলেরই ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে!

এদিন এই প্রসঙ্গে 26 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলারের স্বামী বিজন দাস বলেন, “মাঠ সম্প্রসারণের জন্য এটা করা হচ্ছিল। কিন্তু পুলিশ নিষেধ করায় এখন কাজ বন্ধ রয়েছে।” অন্যদিকে এই ঘটনায় যুক্ত এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় সেনগুপ্ত বলেন, “মাঠ সম্প্রসারণের জন্য কাজটি হলেও, আপাতত তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মাটি সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।”

একইভাবে এই ব্যাপারে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুজয় চক্রবর্তী বলেন, “সরকারি কোনো জায়গা থেকে এই ব্যাপারে অনুমোদন দেবে না বলেই কোথাও আবেদন করা হয়নি। মাঠের দিকে অনেকটা পুকুর চলে এসেছিল। সেই কারণে তা আটকাতে এটা করা হয়।” তবে যে যাই বলুক না কেন, গোটা ঘটনা যে অত্যন্ত নিন্দাজনক, সেই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে এলাকাবাসী থেকে শুরু করে বিদ্বজ্জনেরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!