হেভিওয়েট তৃনমূল নেতাকে খুনের হুমকি, কাঠগড়ায় বিজেপি, জোর চাঞ্চল্য কলকাতা বর্ধমান রাজ্য November 15, 2019 লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির প্রবল উত্থান ঘটেছে। আর বিজেপি তাদের ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানোর সাথে সাথেই বিভিন্ন জায়গায় শাসক বনাম বিরোধীর সংঘর্ষ লক্ষ্য করা গেছে। ক্ষমতা দখলের নেশায় মত্ত হয়ে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকায় ছড়াচ্ছে অশান্তি। কখনও পঞ্চায়েত, কখনও জেলা পরিষদ, আবার কখনও বা পৌরসভা, শাসক-বিরোধী টানাটানিতে এখন নীরব দর্শকের ভূমিকায় সকলে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডুকে ফোনে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দেবু টুডু জেলা পরিষদ ভবনে নিজের কক্ষে ছিলেন। আর সেই সময়ই পরপর তিনবার তার নাম্বারে তিনটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে বলে খবর। অভিযোগ, সেই ফোনের ওপার থেকে দেবু টুডুকে ধর্মীয় স্লোগান দেওয়ার কথা যেমন বলা হয়, ঠিক তেমনই প্রাণনাশের হুমকি দিতেও শোনা যায়। আর হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতির ফোনে এভাবে হুমকি ফোন আসায় এখন রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে প্রবল চাঞ্চল্য। জানা যায়, এদিন দুপুর 12 টা 12, 12:36 এবং 12 টা 43 মিনিটে তিনটি নতুন নতুন নাম্বারে ফোন আসে দেবুবাবুর কাছে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও গত 15 এবং 16 সেপ্টেম্বর রাত্রিবেলা এই দেবু টুডুর কাছে হুমকি ফোন আসে বলে খবর। আর জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতির কাছে এইভাবে হুমকি ফোন আসায় তৃণমূলের অনেকেই গোটা ঘটনাটিকে অন্য চোখে দেখতে শুরু করেছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, “মোবাইলে ট্রু কলার অ্যাপস লোড করা আছে। সেই অ্যাপের তথ্য অনুযায়ী দেখা গেছে, দেবাশিস সরকার, কৃষ্ণেন্দু রায় এবং রাজু দা এই ফোন করেছেন। এর আগেও দু’দফায় আমাকে একাধিকবার ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজকের ঘটনার পর আমি নিশ্চিত যে, এর পেছনে বিজেপি রয়েছে। কারণ ফোন আসা তিনটি নম্বরই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের।” এদিকে এই গোটা ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনকে জানানোর পাশাপাশি জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকেও তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন বলে জানান দেবু টুডু। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, যখন বঙ্গ রাজনীতিতে শাসক বনাম বিরোধীর মধ্যে প্রবল প্রতিযোগিতা চলছে, ঠিক তখনই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার ফোনে এইভাবে হুমকি ফোন আশায় গুঞ্জন সৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যেভাবে এই ঘটনায় এই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুললেন, তাতে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পেল বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতির বিজেপির বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ আদৌ কতটা গ্রহনযোগ্যতা পায়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -