এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপি নতুন জোটসঙ্গী পেতেই ক্ষোভে দল ছাড়লেন এই হেভিওয়েট – জানুন বিস্তারিত

বিজেপি নতুন জোটসঙ্গী পেতেই ক্ষোভে দল ছাড়লেন এই হেভিওয়েট – জানুন বিস্তারিত


গত 21 অক্টোবর মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গেল। এই বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে বিজেপি ঐ আগে থেকেই নির্বাচনী রূপরেখা তৈরি করে রেখেছিল। সেইমতো তাঁরা নির্বাচনী পদক্ষেপ নেয়। লোকসভা নির্বাচন মেটার সাথে সাথে বুথ ফেরত সমীক্ষায় বিজেপির নিরঙ্কুশ জয়ের কথা উঠে আসে। কিন্তু বাস্তবিক ভোটের রেজাল্ট বেরোনোর দিন ছবি সম্পূর্ণ পাল্টে যায়। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানায় বিজেপি জিতেছে। কিন্তু মহারাষ্ট্রে বিজেপি যা দাবি করেছিল তার থেকে অনেক কম আসনে জিতেছে।

অন্যদিকে হরিয়ানায় ত্রিশঙ্কু সরকার হয়েছিল সেখানে সরকার গড়তে বিজেপি জেজেপি অর্থাৎ দুষ্মন্ত চৌতালার সাথে হাত মেলাল। ফলে হরিয়ানাতে সরকার গড়েছে বিজেপি, কিন্তু সঙ্গী হয়েছে জেজেপি। হরিয়ানাতে বিজেপি সরকার গড়লেও, রাজনৈতিক সমীকরণে এসেছে নয়া মোড়। দলের একাংশ দুষ্মন্তের এই সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না। এ ব্যাপারে জননায়ক জনতা পার্টির নেতা, তথা বহিস্কৃত বিএসএফ জওয়ান তেজ বাহাদুর যাদব রীতিমত বিস্ফোরক অভিযোগ করে দল ছাড়লেন।

এদিন তিনি জানান, দুষ্মন্ত চৌতালা বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছেন। কারণ মানুষ ভোট দিয়েছিল বিজেপিকে সরানোর জন্য। কিন্তু এখন জেজেপি বিজেপির বি টিম হিসেবে কাজ করছে। প্রসঙ্গত, হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের আগেই জননায়ক জনতা পার্টিতে যোগদান করেন বহিস্কৃত বিএসএফ জওয়ান তেজ বাহাদুর যাদব। জেজেপি দল করার আগে অবশ্য তিনি সমাজবাদী পার্টিতে যোগদান করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি জেজেপিতে যোগদান করেছিলেন।

এর আগে লোকসভা নির্বাচনে তিনি সপা প্রার্থী হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বারাণসী থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, শেষপর্যন্ত তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। এদিকে, জেজেপি থেকে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর এর বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর বিজেতা হন। তেজ বাহাদুর নিজে হেরে গেলেও, তাঁর দল দুর্দান্ত ফলাফল করে হারিয়ানাতে। আর তাই সরকার গড়তে, বিজেপি বাধ্য হয় জেজেপির সঙ্গে জোট করতে। কিন্তু। এই সিদ্ধান্তে নাখুশ = তেজ বাহাদুর দাবি জানিয়েছেন, জেজেপিকে মানুষ ভোট দিয়েছিল বিজেপিকে উৎখাত করার জন্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি খোদ দুষ্মন্ত চৌতালাও ফলাফল প্রকাশের পর জানান, মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিয়েছেন। খট্টরের মন্ত্রিসভার আট মন্ত্রী পরাজিত হওয়ায় সে কথা স্পষ্ট। কিন্তু সরকার গড়তে বিজেপির সাথে সেই জেজেপিই হাত মিলিয়েছে। আর এখানেই দুষ্মন্ত চৌতালার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তেজ বাহাদুর। বিজেপি এবং জেজেপি জোট সরকার গড়তে আসার খবর প্রকাশিত হওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তেজ বাহাদুর। আর সেই ভিডিওতেই রীতিমত বিস্ফোরক হয়েছে তিনি।

তিনি বলেন, ‘দুষ্মন্ত যৌতলা হরিয়ানার মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। মানুষ যে বিজেপিকে ছুঁড়ে ফেলতে তাঁকে ভোট দিয়েছিল, তিনি তাঁর সাথেই জোট করছেন। জেজেপি এখন বিজেপির ‘বি’ টিম। দুটো দলই এক। ওদের বিরোধিতা করা উচিত।’ একই সাথে এদিন তেজ বাহাদুর জানিয়ে দেন তিনি নিজেই জেজেপি দল ছেড়ে দিচ্ছেন। উল্লেখ্য, 2017 সালে বিএসএফ শিবিরের খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বরখাস্ত করা হয় তেজ বাহাদুর যাদবকে। সেই সময় খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন তেজ বাহাদুর।

আর তাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। ভিডিওটি ভাইরাল হয়। তদন্তের পর বিএসএফ থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত হওয়ার পরেই তিনি রাজনীতিতে আসার প্রস্তুতি নেন। প্রথমেই যোগ দেন সমাজবাদী পার্টিতে। বারাণসি থেকে মহাজোটের প্রার্থী হন তিনি লোকসভা ভোটে। তারপর হরিয়ানা বিধানসভা ভোটের আগে তিনি জেজেপিতে যোগদান করেন। আর খট্টরের বিরুদ্ধে প্রার্থী হন। কিন্তু জেজেপি ও বিজেপি জোট করার ফলে তেজ বাহাদুর জেজেপি দল ছেড়ে দিলেন।

অন্যদিকে, বিজেপি শিবিরে আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস। কারণ ম্যাজিক ফিগার 46 তাঁরা জোগাড় করে ফেলেছে, কিংমেকার দুষ্মন্ত চৌতালার সাহায্যে। বিজেপি-জেজেপি জোট সরকার গতকালই শপথ নিয়েছে। দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে মনোহর লাল খাট্টার। অন্যদিকে, দুষ্মন্ত চৌতালা হয়েছেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী। তবে, জোট সরকারকে যে আগামী ৫ বছর অনেক বাধা-বিপত্তি সামলাতে হবে, তা তেজ বাহাদুরের মত হাই-প্রোফাইলের বিদ্রোহের প্রমাণিত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!