রাস্তা জুড়ে মিটিং-মিছিল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেল রাজনৈতিক দলগুলি রাজ্য May 5, 2018 পনের বছর আগে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের জারী করা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বড় বড় রাস্তায় মিছিল-মিটিং আয়োজন অব্যাহত রয়েছে। আজ এতদিন পরে একই বিষয়ে একই নিষেধাজ্ঞা জারী করলো কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অরিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিলেন, রাজ্য জুড়ে যে-সব বড় ও প্রধান সড়ক রয়েছে, তা পুরোপুরি আটকে কোনও জনসভা বা মিছিল করা যাবে না। আর যদি একান্তই ঐসব রাস্তায় জনসভা বা মিছিল করতেই হয় সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জায়গা গুলিতে পথচারীদের এবং যান চলাচলের কোনো অসুবিধা যাতে না হয় সেই বিষয়ে পুলিশ ও প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে উল্লেখ্য ২০০৩ সালে হাইকোর্টে যাওয়ার পথে মিছিলে আটকে পড়ে নাকাল হয়েছিলেন তৎকালীন বিচারপতি অমিতাভ লালা। সেই সময়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নির্ভর হয়ে তিনি কলকাতার প্রধান আটটি রাস্তায় সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মিটিং-মিছিলের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা কে এককথায় বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কলকাতা এবং জেলার প্রধান বড় রাস্তা আটকে মিটিং-মিছিল করেছে । এমনকি ওই সব রাস্তায় ধর্মীয় শোভাযাত্রাও হয়েছে। ২০১৫ সালে ঋতুপর্ণা সরকার দত্ত নামে এক আইনজীবীর জনস্বার্থ মামলায় এ দিন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার আবেদনে বলা হয়, রাস্তা আটকে মিটিং-মিছিলের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করুক আদালত। মামলায় যুক্ত করা হয় কলকাতার সিপি এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে। হাইকোর্টের তত্কালীন প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরের ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনকারিণীর আইনজীবী শ্রীকান্ত দত্তকে নির্দেশ দেন, নথিভুক্ত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলিকে এই মামলায় যুক্ত করতে হবে। কিন্তু সিপিএম ছাড়া আর কোনও দল মামলায় যুক্ত হয়নি। এদিকে সিপিএমের পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, সংবিধান মিটিং-মিছিল করার মৌলিক অধিকার দিয়েছে নাগরিকদের। সিপিএম রাস্তা পুরো আটকে জনসভা বা মিছিল করে না। আপনার মতামত জানান -