বদলি সংক্রান্ত মামলায় শিক্ষকদের খুশি করে আদালতের রায়ে চাপ বাড়ল রাজ্য সরকারের কলকাতা পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য July 26, 2018 বড় জয় পেলেন রাজ্যের দুই শিক্ষক। কয়েকদিন আগে পুরুলিয়া জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কমলাকান্ত হাঁসদা ও সন্দীপ মন্ডল কে যথাক্রমে পশ্চিম মেদিনীপুর পূর্ব মেদিনীপুরের স্কুলে বদলি করা হয়। বদলির কারণ কিছু জানা যায়নি তবে দুই শিক্ষকের দাবি ছিল যে তাদের বিজেপি করার অপরাধে রাজ্য সরকারের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে যদিও। এই নিয়ে পুরুলিয়া জেলার জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো জানিয়েছিলেন এটার সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগ নেই। এটা শুধুমাত্র রুটিন বদলি এবং শিক্ষা দপ্তর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু কমলাকান্ত বাবু ও সন্দীপবাবু এই নিয়ে রাজ্যসরকারকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। গতকাল বিচারপতি শেখর ববি সরাফের এজলাসে এ মামলার শুনানি ছিল। সেখানে মামলাকারীদের আইনজীবী বিবেকানন্দ বাউড়ি প্রশ্ন তুলেছিলেন যে রাজ্য সরকার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল তাতে বলা হয়েছিল – রাজ্য সরকার মনে করলে যাকে খুশি বদলি করতে পারে। আর তিন দিনের মধ্যে তাকে নতুন জায়গায় কাজে যোগ দিতে হবে। কিন্তু 72 ঘণ্টার মধ্যে কাউকে এভাবে বদলি করা হলে নতুন স্কুলে যোগ দেওয়া কি সত্যিই আদৌ সম্ভব ?এরপর বিচারপতি কমিশনের বদলি নির্দেশিকার উপরে দুসপ্তাহ স্থগিতাদেশ দেন। এই নিয়ে রাজ্যের শিক্ষক মহল যথেষ্টই খুশি। তাদের মতে বড় ধরনের জয় পেলেন কমলাকান্ত বাবু ও সন্দীপবাবু। প্রসঙ্গত, 5 ই জুলাই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সংসদ শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের প্রশাসনিক কারণে বিভিন্ন জায়গায় বদলি করতে পারে এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল এবং তারপরেই কমলাকান্ত বাবু সন্দীপবাবুর স্কুলে তাদের বদলির সংক্রান্ত নোটিশ আসে। এই নিয়ে কমলাকান্তবাবুর স্কুলের পড়ুয়ারা আন্দোলনে নেমেছিলেন। স্কুল অবরোধ করে শিক্ষকদের তালা ঝুলিয়ে রেখে দিয়েছিলেন এর প্রতিবাদে এবং খুদেরা জানিয়েছিলেন যে যদি এই বিজ্ঞপ্তি নির্দেশিকা প্রত্যাহার না করে রাজ্য সরকার তবে তারা আরো বড় আন্দোলনে যাবেন। যাইহোক খুদে পড়ুয়াদের কিছুটা হলেও জয়ের স্বাদ এনে দিল আদালতের রায় বলেই মত রাজনৈতিকমহলের। আপনার মতামত জানান -