এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে শুভেন্দু ঘনিষ্টকে গ্রেপ্তার করায় প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার, বাড়ছে বিতর্ক

হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে শুভেন্দু ঘনিষ্টকে গ্রেপ্তার করায় প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার, বাড়ছে বিতর্ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরাকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে। কার্যত শুভেন্দু ঘনিষ্ট রাখাল বেরার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল প্রতারণার। এই নিয়ে হাইকোর্টে কেস চলছিল। কিন্তু হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের পক্ষ থেকে রাখাল বেরাকে মামলা থেকে নিষ্কৃতি দেয় এবং পুলিশকে নির্দেশ দেয় আদালতের অনুমতি ছাড়া যেন তাঁকে কোনমতেই গ্রেফতার করা না যায়। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করাও যাবে না বলেও নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ডিভিশন বেঞ্চে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করা হয়। আগামী 26 আগস্ট সেই মামলার শুনানি হতে চলেছে। অন্যদিকে গতকাল নন্দকুমার থানার পুলিশ রাখাল বেরাকে গ্রেপ্তার করেছিল।

সেই সূত্রে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে এবার পাল্টা রাজ্য সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন নন্দকুমার থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে রাখাল চন্দ্র বেরাকে? পাশাপাশি রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চের মামলার শুনানিতে কেন জানায়নি যে অন্য একটি মামলায় রাখাল চন্দ্র বেরাকে গ্রেফতার করা হয়েছে? এই প্রশ্ন তুলেছেন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও শুভাশীষ দাশগুপ্ত। রাখাল বেরাকে নন্দকুমার থানা যে মামলায় গ্রেপ্তার করেছিল সে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুলে নেওয়ার আবেদন করেছে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই। হাইকোর্টের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আগামী 26 শে আগস্ট পর্যন্ত রাখাল বেরাকে আর গ্রেপ্তার করা যাবেনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী জানান, গতকাল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, রাখাল বেরার বিরুদ্ধে তমলুক থানায় চারটি অভিযোগ আছে। কিন্তু দেখা গেল, জমা দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র নন্দকুমার থানার অভিযোগ ওয়ারেন্ট। কেন বারবার আদালতকে অন্ধকারে রাখছে রাজ্য সরকার, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। অন্যদিকে ভুল বোঝাবুঝি থেকে নন্দকুমার থানার পুলিশ রাখাল বেরাকে গ্রেপ্তার করেছিল বলে জানানো হয়েছে। তবে তিনি জামিনে মুক্ত হয়েছেন। পাশাপাশি কোনো রাজনৈতিক অভিসন্ধি কিংবা কোনো বড় অফিসার এই ব্যাপারে যুক্ত ছিলেননা বলে জানানো হয়েছে আদালতে।

স্থানীয় থানার সিদ্ধান্তেই রাখাল বেরাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানানো হয়েছে। কার্যত রাখাল বেরাকে নিয়ে তীব্র অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত মনে করা হচ্ছে, রাখাল বেরার সূত্রে শুভেন্দু অধিকারীকে কিছুটা কোণঠাসা করার চেষ্টা চালিয়েছিল রাজ্য সরকার, কিন্তু আদালতের নির্দেশে রাজ্য সরকারের সেই চেষ্টা বিফলে গেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে রাখাল বেরার দিকেও কিন্তু কিছুটা অস্বস্তি এখনো বজায় রইল। কার্যত আগামী 26 আগস্ট কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয় ডিভিশন বেঞ্চে, এখন সেদিকেই নজর থাকছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!