এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হেভিওয়েট তৃণমূল মন্ত্রী, জোরদার চর্চা

হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হেভিওয়েট তৃণমূল মন্ত্রী, জোরদার চর্চা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নারদ মামলা নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। দীর্ঘদিন ধরে নারদ মামলার তদন্ত চালানোর পর সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রাজ্য তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা এবং প্রাক্তন তৃণমূল নেতা। সেসময় চারজনকে গ্রেপ্তার করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসার পর যেভাবে নিজাম প্যালেস ঘিরে ধরে তৃণমূল সমর্থকরা বিক্ষোভ জানায়, এবার সেই পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করে সিবিআই নারদ মামলা অন্যত্র সরানোর দাবি জানাচ্ছে। এক্ষেত্রে তাঁরা প্রভাবশালী তত্ত্বের উপস্থাপনা করেছে। আর এবার সিবিআই এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।

প্রসঙ্গত এই মামলাতে সিবিআই নাম জড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সূত্রের খবর, মলয় ঘটক সুপ্রিমকোর্টের কাছে আবেদন করেছেন, সিবিআই-এর করা মামলা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার জন্য। জানা গিয়েছে, নারদ মামলা অন্যত্র সরানোর যে দাবি জানিয়েছে সিবিআই তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে নিয়ে তিনটি পক্ষ তৈরি করেছে। আর সেই পক্ষ নিয়েই যাবতীয় আপত্তি। এবার এই মামলা থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে পৌঁছালেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কলকাতা হাইকোর্ট নারদ মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী এবং নেতাদের শুনানি চলাকালীন কোন হলফনামা গ্রহণ করা হয়নি সময় চলে যাওয়ার কারণে। হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী। তৃণমূল শিবিরের অভিযোগ, সিবিআইয়ের অভিযোগ, গত 17 ই মে তৃণমূল বিধায়ক মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করার পর নিজাম প্যালেসে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেই তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাজির হয়ে ধর্না দেন। একইসাথে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা বাইরে থেকে সমর্থকদের করে করে পরিস্থিতি আরো সন্ত্রস্ত করে তোলেন।

অন্যদিকে সিবিআইয়ের তীব্র নিন্দা যেমন করছে তৃণমূল, ঠিক সেভাবেই বার কাউন্সিলের সদস্যরাও সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে। তাঁদের তরফ থেকে একটি লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হচ্ছে, অসাংবিধানিকভাবে নারদ মামলায় নাম জড়ানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী, আইন মন্ত্রী এবং সাংসদের। পাশাপাশি রাতের অন্ধকারে এজলাস বসিয়ে আদালতের একতরফা রায় আদায় করার প্রচেষ্টাকেও ব্যাপক নিন্দা করেছে বার কাউন্সিল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের আইনমন্ত্রীর সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের আইনমন্ত্রীর আবেদনের ভিত্তিতে কি রায় দেয়, সে দিকেই লক্ষ্য রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!