এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলীয় কর্মীকে গুলির প্রতিবাদে মিছিল হিন্দু জাগরণ মঞ্চের, রণক্ষেত্র পরিস্থিতি

দলীয় কর্মীকে গুলির প্রতিবাদে মিছিল হিন্দু জাগরণ মঞ্চের, রণক্ষেত্র পরিস্থিতি


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে রাজ্যের হিন্দু এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো সুরক্ষিত নয় বলে মাঝেমধ্যেই দাবি করতে দেখা গেছে ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য নেতৃত্বকে। শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের সুরক্ষায় নয়, ইতিপূর্বে রাজ্যে ধূলাগড় থেকে শুরু করে কালিয়াচক পর্যন্ত ধর্মীয় সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হওয়ার কারণে বারবারই কাঠগড়ায় উঠতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে।

আর এবার আরো একটি ধর্মীয় সংগঠনের কর্মী ‌আক্রান্ত হওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার প্রতিরোধের সাক্ষী হয়ে থাকল মহানগরী কলকাতা। জানা গেছে, বুধবার এনআরএস হাসপাতাল চত্বর থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত মিছিল করে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। তাদের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে গত 3 ডিসেম্বর হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মী বীরবাহাদুর সিংকে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে। যার জেরেই এদিন কলকাতায় মিছিল সংঘটিত করেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যরা।

তবে এদিন এনআরএস হাসপাতাল থেকে ধর্মতলা চত্বরে মিছিল পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের তরফে সেই মিছিলকে বাধা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীদের হাতাহাতি এবং বাকবিতণ্ডা বাধলে লাঠিচার্জ করতে দেখা যায় পুলিশকে। যদিওবা এই বিষয়ে পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, মিছিলের জন্য উপযুক্ত অনুমতি পত্র ছিল না হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মীদের। সেই কারণে মিছিলকে বাধা দেওয়া হয়।

যদিও কার্যত অনুমতিবিহীন ভাবে মিছিল করার কথাকে স্বীকার করে নিয়েছেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের নেতৃত্বরা। তবুও তাদের পক্ষ থেকে পাল্টা যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, ইতিপূর্বে মিছিল করার জন্য অনুমতি চাওয়া হলেও প্রশাসনের তরফ থেকে কখনই অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই একরকম বাধ্য হয়েই অনুমতিবিহীন ভাবেই মিছিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 3 ডিসেম্বর মেটিয়াবুরুজে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মী বীরবাহাদুর সিং গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বীরবাহাদুর সিং হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মী হওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কর্মীও বটে। তাই মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করে আসেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। শুধু আহত কর্মীর সঙ্গে দেখা করাই নয়, এই ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা।

যেখানে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অহংকারের জন্যই এই সমস্ত ঘটনা ঘটছে। দ্রুত সেই অহংকারের পতন হবে।” আর তৃণমূলের উদ্দেশ্যে কৈলাস বিজয়বর্গীয় এহেন মন্তব্যের একদিন পরেই বুধবার রাস্তায় নামতে দেখা যায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মী সমর্থকদের। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই নিজের হিন্দুবিরোধী ছবি মুছে ফেলতে আপ্রাণ পরিশ্রম করতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে।

প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে বহুবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণ এবং হিন্দুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ করে এসেছে বিজেপি থেকে শুরু করে অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকেও শোনা যায়, “আমি তো মুসলিম তোষণ করি।”

আর এরপর থেকেই 2021 সালের নির্বাচনে নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস আচরনের দিক থেকে অনেকগুলো পরিবর্তন এনেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও গত 3 ডিসেম্বর মেটিয়াবুরুজে যে ঘটনা ঘটল, তা পুনরায় উস্কানি দিতে পারে রাজ্যের ধর্মীয় ভাবাবেগে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!