এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > এবার কি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সঙ্গে রামমন্দির কর্তৃপক্ষের ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়ে গেল? জেনে নিন

এবার কি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সঙ্গে রামমন্দির কর্তৃপক্ষের ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়ে গেল? জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কঙ্গনা রানাওয়াতের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা সরকারের দ্বন্দ্বের কথা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। সামান্য টুইট দিয়ে শুরু হওয়া একটা বাকবিতণ্ডা যে শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা কেউই ঠাহর করতে পারছেনা। তবে কিছুদিন আগে শোনা গিয়েছিল, কঙ্গনা রানাওয়াতের একটি ভিডিও ক্লিপই নাকি শিবসেনা সরকারের কাছে ব্রম্ভাস্ত্র হিসেবে কাজে লাগতে চলেছে। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্যে উঠে এসেছে বলিউডের অন্ধকারময় অনেক দিকের কথা। তার মধ্যে বলিউডের বিভিন্ন তারকাদের ড্রাগ সেবন বা ড্রাগ সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে শোনা গেছিল অনেক তথ্য।

তবে এই ঘটনা নিয়ে প্রথম থেকেই অনেক কথা বলেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। সেই সঙ্গে অভিযোগ এনেছিলেন বলিউডের নামিদামি ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে। তবে সম্প্রতি তাঁরই একটি ভিডিও ক্লিপ বর্তমানে হাতিয়ার হতে চলেছে বলেই মনে করছে শিবসেনা সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীর একটি পুরনো ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। যাতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, তিনি একটা সময় ড্রাগ সেবন করতেন। আর তাতে নাকি সাক্ষী হিসেবে কাজে আসবে অভিনেত্রীরই প্রাক্তন প্রেমিক। তবে সম্প্রতি এই নিয়ে শিবসেনা এবং অভিনেত্রীর সংঘাতে মুখ খুলেছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁদের কথায়, অভিনেত্রী জাতীয়তাবাদী শক্তিগুলিকে সমর্থন করেন ও মুম্বইয়ের মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। আর তাই অন্যায়ভাবে শিবসেনা সরকার ও মহারাষ্ট্র সরকার লাগাতার তাঁকে হেনস্তা করার চেষ্টা করে চলেছে, যা কখনই মেনে নেওয়া যায় না। অন্যদিকে হনুমানগড়ি মন্দিরের পুরোহিত উদ্ধব ঠাকরেকে কটাক্ষ করে বলেন যে, তিনি ও শিব সেনা সরকারকে অযোধ্যায় আর স্বাগত জানানো হবে না। বরং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী অযোধ্যার এলে ওখানকার সাধুদের তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়তে হবে। মহারাষ্ট্র সরকার পালঘরে নৃশংসভাবে মৃত্যু হওয়া দুই সাধুর খুনিদের ধরতে না পারলেও অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে কোনও সময় নষ্ট না করেই ব্যবস্থা নিয়েছে।

তবে শিবসেনা সরকারকে অযোধ্যায় স্বাগত নয় বলে ঘোষণা করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও সাধুদের সর্বোচ্চ সংগঠন অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ। তাদের হুঁশিয়ারি ছিল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী রামের জন্মভূমিতে এলে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হবে। তবে সোমবার তাঁর তীব্র সমালোচনা করলেন রাম মন্দির তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই। এদিন শিব সেনাকে প্রধানকে রাম জন্মভূমিতে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে অযোধ্যায় আসা থেকে কেউ আটকাতে পারবে না। কারও ক্ষমতা থাকলে সেটা করে দেখাক। আর এর পরই সোশাল মিডিয়ায় তথা হিন্দু সমাজের মধ্যে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।

কঙ্গনা রানাউত মহারাষ্ট্রে সুরক্ষিত নন বা মহারাষ্ট্রকে পাক অধিকৃত কাশ্মীর বলে অভিনেত্রী বনাম সঞ্জয় রাউত দ্বৈরথ চলছিলই। পরে তা অমিত শাহের হস্তক্ষেপে কেন্দ্র সরকার বনাম শিব সেনা শাসিত মহারাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্টে গিয়েছিল। কঙ্গনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ‘Y’ ক্যাটাগরি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে টুইট করে অভিনেত্রী লিখেছিলেন যে, অমিত শাহের কাজই প্রমাণ করে যে কোনও ফ্যাসিবাদী শক্তি আর দেশভক্তের কণ্ঠ রোধ করে রাখতে পারবে না। এরপর সংঘাত গড়ায় অভিনেত্রীর অফিস ভাঙ্গা থেকে শুরু করে ভিডিও ক্লিপ পর্যন্ত। আর তাতেই কঙ্গনার পক্ষে দাঁড়িয়ে শিব সেনা ও উদ্ধব ঠাকরের তীব্র সমালোচনা করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ ও অযোধ্যার বিভিন্ন সাধুরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!