এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > হিন্দুনেতা খুনের পিছনে রাজ্য সরকারের ‘হাত’ দেখছেন নিহতের মা! শোরগোল রাজ্য জুড়ে!

হিন্দুনেতা খুনের পিছনে রাজ্য সরকারের ‘হাত’ দেখছেন নিহতের মা! শোরগোল রাজ্য জুড়ে!

সামনেই দীপাবলি। আলোকসজ্জায় সেজে উঠতে চলেছে গোটা দেশ। কিন্তু তার মধ্যেও খামতি নেই রাজনৈতিক খুনোখুনির। গোটা দেশের কোথাও না কোথাও প্রত্যেকদিন রাজনৈতিক হত্যা হয়ে চলেছে। কারো না কারোর প্রাণের বলি হয়েই চলেছে। রাজনৈতিক হিংসা, খুনোখুনিকে অনুসরণ করে এবার দিনের আলোয় খুন হলেন উত্তর প্রদেশের হিন্দু সমাজ পার্টির নেতা। খুনের তদন্তে নেমে নেমে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এখনো পর্যন্ত 5 জনকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু তা সত্বেও যোগী রাজ্যে হওয়া এই খুনের ঘটনায় তার দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে।

গত শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের হিন্দু সমাজ পার্টির নেতা কমলেশ্বর তিওয়ারিকে। দিনের আলোয় নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে তাঁকে। সূত্রের খবর, তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশ পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদিকে, কমলেশ তিওয়ারির মা এই হত্যার দায়ভার সম্পূর্ণরূপে যোগী প্রশাসনের ঘাড়েই চাপিয়েছেন।

এ সম্পর্কে কুসুম তিওয়ারি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, ‘পরিকল্পনা করেই আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। যোগী সরকার বিশ্বাসঘাতক। বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত সুরক্ষা দেয়নি প্রশাসন। এবার এই ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য কয়েকজন নির্দোষ ব্যক্তি গ্রেফতার করা হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আগের সরকারের আমলে কমলেশের সুরক্ষার জন্য 17 জন পুলিশকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু যোগী সরকার ক্ষমতায় এসেই কমলেশের সুরক্ষাকবচ তুলে নেয়। 17 জন পুলিশের বদলে মাত্র চারজন পুলিশ নিযুক্ত করা হয়েছিল। ওই চারজন সবসময়েই কমলেশের সঙ্গে থাকত। কিন্তু তাজ্জব ব্যাপার, যেদিন ঘটনাটি ঘটল, সেদিন একজন নিরাপত্তা কর্মীও কাজে আসেনি। এটা কি করে সম্ভব, একটু বলুন তো। শুধু একজন হোমগার্ড ছিলেন। যাঁর হাতে একটা ছুরি ছিল শুধু। দুষ্কৃতি তাঁকে একটা চড়ও মেরেছিল, তাও কিছুই করতে পারেনি ওই হোমগার্ড। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে খুনের হুমকি পাচ্ছিলেন কমলেশ। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু ভ্রুক্ষেপই করেনি প্রশাসন। আদালতেও গিয়েছিল যাতে সুরক্ষা কবজ কড়া করা হয়। কেউই কানে নেয়নি আমাদের কথা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে। কমলেশের মৃত্যুর পর পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর পরিবারকে হেনস্থা করার অভিযোগ তুলেছেন কুসুম তিওয়ারি। তিনি জানিয়েছেন, ‘কমলেশের দেহ আমাদের হাতে তুলে দিতে 12 ঘন্টা দেরি করেছে পুলিশ। দাঙ্গা লেগে যেতে পারে, এই বলে বারবার আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর রাত দুটো নাগাদ আমরা দেহ হাতে পেয়েছি। শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য কমলেশের দেহ দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তা করতে দেওয়া হয়নি। আমাকে একটা গাড়ির মধ্যে আটকে রেখে কমলেশের স্ত্রী ও ছেলেকে মারধর করেছে পুলিশ।’

সমস্ত ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যোগীর তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো বিবৃতি জারি করা হয়নি। অন্যদিকে, এই ঘটনায় হিন্দু সমাজ পার্টি তীব্র প্রতিবাদে মুখর হয়েছে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি। সমস্ত ঘটনা নজরে রেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, যেকোনো হত্যাই দুর্ভাগ্যজনক। সঠিকভাবে সঠিক তদন্ত করে দোষীরা যাতে শাস্তি পায় সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে যোগী সরকারকে। সমস্ত ঘটনার ওপর কড়া নজর রাখছে উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!