এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হিংসা নিয়ে চাপ বাড়াচ্ছেন রাজ্যপাল, সঙ্গে একের পর এক কেন্দ্রীয় দলের হানা! চরম সমস্যায় মমতা?

হিংসা নিয়ে চাপ বাড়াচ্ছেন রাজ্যপাল, সঙ্গে একের পর এক কেন্দ্রীয় দলের হানা! চরম সমস্যায় মমতা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একদিকে কেন্দ্রীয় সরকার এবং অন্যদিকে রাজ্যপালের চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের হিংসা ক্রমাগত বাড়তে শুরু করেছে। আর সেই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই রাজ্য সরকারকে সতর্ক করছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। বিভিন্ন জেলা পরিদর্শন করতে দেখা যাচ্ছে তাকে। যার ফলে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সম্পর্ক ক্রমশ অবনতি আকার নিচ্ছে।

অন্যদিকে হিংসার ঘটনা থেকে শুরু করায় নানা ইস্যুতে রাজ্যে পা রাখতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। আর এই পরিস্থিতিতে অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে নতুন দায়িত্ব দেওয়া তৃতীয় মা মাটি মানুষের সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ নেওয়ার 24 ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে পা রেখেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। যা নিয়ে রীতিমত উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার কোচবিহার থেকে শুরু করে নন্দীগ্রাম, বিভিন্ন জায়গায় হিংসা উপদ্রব এলাকাগুলো খতিয়ে দেখতে পৌঁছে যাচ্ছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। যা সরকারের কাছে আরও অস্বস্তির কারণ।

স্বাভাবিক ভাবেই তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এত প্রতিকূলতা যেভাবে গ্রাস করতে শুরু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে, তাতে আশঙ্কা বাড়ছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। ঠিক কোন পথে পরিচালিত হচ্ছে রাজ্য! একের পর এক কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি এবং রাজ্যপালের এই অতি সক্রিয়তা কি নতুন কোনো ইঙ্গিত দিচ্ছে? তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, রাজ্যপাল আসলে বিজেপির রাজ্য সভাপতির মত আচরণ করছেন। একজন সাংবিধানিক প্রধানের কাছ থেকে এরকম কিছু আশা করা যায় না। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে নতুন দায়িত্ব নেওয়া সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন, তা কার্যত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে পন্ড করছে বলে দাবি করছে শাসক দল।

বস্তুত, ইতিমধ্যেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি প্রতিনিধি দল এবং মহিলা কমিশনের এক প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করে গিয়েছে। যেখানে পশ্চিমবাংলায় মহিলাদের অবস্থা ভয়াবহ বলে দাবি করেছেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, “স্বাধীনতার সময় বাংলা সম্পর্কে হিংসার কথা শুনেছিলাম। কিন্তু এখন যে পশ্চিমবঙ্গে ছবি দেখলাম, তা সেই সময়ের থেকেও খারাপ। রাজ্য সরকার হিংসা কবলিত মানুষদের জন্য কোনোরকম সহযোগীতা করছে না। ধর্ষণের 11 টি অভিযোগ সামনে এসেছে। যা মারাত্মক।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ একদিকে যখন আইন শৃঙ্খলা এবং প্রশাসনের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রাজ্যপাল, ঠিক তখনই নারী নির্যাতন হচ্ছে বলে সরব হলেন মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান। যা উভয় দিক থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে যথেষ্ট চাপের মুখে ফেলে দিচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কি নতুন কোন দিকে এগিয়ে যেতে চলেছে বাংলা? নতুন কোনো সম্ভাবনাময় পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে? একাংশ বলছেন, ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার সতর্কবার্তা দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, “এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবেন না” অর্থাৎ তিনি কি তাহলে রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত দিলেন? জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর হিংসার ঘটনা কিছুটা হলেও ভয়াবহতার আকার ধারণ করেছে রাজ্যে। তবে এই গোটা বিষয়টি নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে যত না বেশি প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, তার থেকে বেশি সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে। রাজ্যের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। সেভাবে তাদেরকে মাঠে-ময়দানে এই হিংসার বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু পরোক্ষে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে এবং রাজ্যপালের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল সরকারকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে।

একাংশ বলছেন, রাজ্য বিজেপির সেই ক্ষমতা নেই। তারা জানে, রাজ্যে উন্নয়নের সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তাই মিথ্যা কথা বলে মানুষকে ভাওতা দেওয়া যাবে না বুঝে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে এবং রাজ্যপালের মধ্যে দিয়ে রাজ্যের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, যদি পরিস্থিতি এরকম ভাবেই এগিয়ে যেতে শুরু করে, তাহলে ভবিষ্যতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাষ্ট্রপতিকে রিপোর্ট দিতে পারেন রাজ্যপাল। যার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন, তাহলে রাজ্যে তৈরি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির মত পরিস্থিতি। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!