এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > হিংসা থামাতেই বড় পদক্ষেপ মানবাধিকার কমিশনের, সোচ্চার মমতা, জেনে নিন

হিংসা থামাতেই বড় পদক্ষেপ মানবাধিকার কমিশনের, সোচ্চার মমতা, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই হিংসা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা নিরাপদ নয় বলে অভিযোগ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি‌। পরবর্তীতে গোটা বিষয়টি হাইকোর্টের দরজায় গিয়ে পৌঁছলে সরকারকে ব্যাপক ভর্ৎসনা করা হয়‌। যেখানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা রাজ্যে আসলেও কেন তাদের সহযোগিতা করা হচ্ছে না, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেয় হাইকোর্ট। পরবর্তীতে হাইকোর্টের সবুজ সংকেতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন হিংসার ঘটনা কমানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে। যেখানে সোমবার সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের অফিসে একটি ক্যাম্প গঠন করা হয় কমিশনের পক্ষ থেকে। যেখানে আক্রান্তদের সরাসরি নিয়ে এসে তাদের অভিযোগ শোনা হয়।

স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে রাজ্যে হিংসার ঘটনা যেমন ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে, ঠিক তখনই শাসকদলের বিরুদ্ধে যদি আক্রান্তরা তাদের অভিযোগ তুলে ধরে, তাহলে তৃণমূল অনেকটাই চাপে পড়বে বলে মনে করেছিল বিরোধীরা। এদিকে সোমবারের পাশাপাশি মঙ্গলবারেও কমিশনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করে আক্রান্ত তাদের অভিযোগ জানাতে পারবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যখন এই উদ্যোগ গ্রহণ করছে, ঠিক তখনই এই গোটা বিষয় নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

বস্তুত, মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগ নিয়ে এদিন প্রশ্ন তুলে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “ভোটের পরে কোথাও একটা দুটো ঘটনা ঘটলেও আমরা কড়াভাবে তার মোকাবিলা করেছি। কি এমন ঘটেছে! এরা রাজনীতি করার জন্য এই সমস্ত কিছু করছে।” পাশাপাশি আক্রান্তদের অনেকেই বিজেপির পক্ষ থেকে সাজানো বলেও দাবি করতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেন, “বিজেপি যাদের নিয়ে গিয়েছিল, তাদের অনেকেই সাজানো। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে 20 জনের বেশি যাওয়ার কথা নয়। সেখানে বিজেপি গাড়ি ভাড়া করে এদের নিয়ে গিয়েছে।” অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের ফলে স্পষ্ট যে, মানবাধিকার কমিশনের এই উদ্যোগ তিনি খুব একটা ভালো চোখে দিচ্ছেন না। আর সেই কারণেই হিংসার ঘটনার যে অভিযোগ রাজ্যে উঠেছে, তা খারিজ করে দেওয়ার পাশাপাশি, আক্রান্তদের নিয়ে যাওয়া হলেও, তাদের অনেককেই সাজিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেল বাংলার প্রশাসনিক প্রধানকে।

অনেকে বলছেন, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে যদি সরকারের অস্বস্তি বাড়ে, তাহলে অনেকটাই চাপে পড়ে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে এই মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট সরাসরি দেশের শীর্ষ আদালতে জমা পড়ে। আর যদি সেই রিপোর্টে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো কথা উঠে আসে, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ভবিষ্যত খুব একটা সুখকর হবে না বলেই দাবি একাংশের। হিংসার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মানবাধিকার কমিশনের আক্রান্তদের অভিযোগ শোনার ঘটনাকে কার্যত খারিজ করে দিয়ে গোটা বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে বোঝানোর চেষ্টা করলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান।

এক্ষেত্রে বিজেপির চক্রান্ত এবং পরিকল্পনার কথাও নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন তিনি। যদিও বা ভারতীয় জনতা পার্টির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পেরেছেন, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে তার সরকারের ঘুম উড়ে যেতে পারে। তাই এখন গোটা বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করছেন তিনি। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!