এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফিরহাদ,সুব্রত,মদনের পাশে মমতা থাকলেও কেন চুপ জেলবন্দি এই হেভিওয়েটকে নিয়ে? উঠছে প্রশ্ন

ফিরহাদ,সুব্রত,মদনের পাশে মমতা থাকলেও কেন চুপ জেলবন্দি এই হেভিওয়েটকে নিয়ে? উঠছে প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  এ যেন একই যাত্রায় পৃথক ফল। নারদ কান্ডে গ্রেপ্তার হওয়া সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং মদন মিত্রের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোচ্চার হলেও, জঙ্গলমহলে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সাফল্যের মুখ দেখানো ছত্রধর মাহাতোর গ্রেপ্তারের পর কার্যত নিরব তৃণমূল নেত্রী। শুধু তৃণমূল নেত্রী নয়, তৃণমূল নেতা-কর্মী সমর্থকরাও রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতোকে গ্রেফতার করা হলেও তার বিষয়ে বিন্দুমাত্র রা কাটতে চাইছে না। আর এই বিষয়টি নিয়েই এখন জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

অনেকে বলছেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতি সময় বলা হয়, সিবিআই প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করছে। এক্ষেত্রে নারদ কান্ডে দলের নেতা-মন্ত্রীরা গ্রেফতার হওয়ার পর কেন মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে সেই ভিডিও ফুটেজে দেখা গেলেও, তাদেরকে গ্রেফতার করা হল না! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে তৃণমূলের সকল স্তরের নেতা নেত্রীদের। কিন্তু তৃণমূল সিবিআই বা বিজেপিকে নিয়ে প্রশ্ন তুললেও, তাদের দলের অলিন্দে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের বিমাতৃসুলভ আচরণ কেন! এখন সেই বিষয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে সমালোচক মহলের একাংশ।

সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্ররা দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। সেক্ষেত্রে জঙ্গলমহলে গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ভরাডুবির পর যখন জেল থেকে বেরিয়ে আসা ছত্রধর মাহাতো দলের জন্য প্রাণপাত করে দিলেন, তখন নির্বাচন শেষ হওয়ার সাথে সাথেই তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও, কেন তার এই গ্রেপ্তারি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন না তৃণমূল নেত্রী? এটা কি তার দ্বিচারিতা নয়! ইতিমধ্যেই দলের অন্দরে একাংশের মধ্যে এই প্রশ্ন ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন জেলে থাকা সত্ত্বেও ছত্রধর মাহাতো বেশ কিছুদিন আগে জেল থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। আর তারপরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাকে জঙ্গলমহল পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে বিজেপি অভূতপূর্ব ফলাফল করেছিল। তাই বিধানসভা নির্বাচনে ছত্রধর মাহাতোকে মুখ করে সেখানে ঘাসফুল ফোটাতে চেষ্টা শুরু করে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই চেষ্টাতে অভূতপূর্ব সাফল্য মেলে।

কিন্তু জঙ্গলমহলের নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই গত 28 মার্চ সেই ছত্রধর মাহাতোকে আবার গ্রেফতার করে এনআইএ। যেখানে জ্ঞানেশ্বরী মামলার ঘটনায় তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু তারপর থেকে সেই ছত্রধর মাহাতোকে গ্রেফতার করা নিয়ে বিন্দুমাত্র কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি তৃণমূলের শীর্ষস্তরের নেতা নেত্রী থেকে শুরু করে জেলার নেতাদের। আর বর্তমানে সেই ছত্রধর মাহাতোকে নিয়ে তৃণমূলের নীরবতা আরও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে, যখন তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী এবং বিধায়কদের নারদা কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পৌঁছে যেতে দেখা গিয়েছিল নিজাম প্যালেসে। দলের নেতা মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারি নিয়ে প্রকাশ্যে সরব হতে দেখা যায় তাকে। কিন্তু জঙ্গলমহলে যার জন্য এত ভাল ফলাফল হল, সেই ছত্রধর মাহাতো গ্রেপ্তার হওয়ার পরেও কেন নীরব থাকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? দিকে দিকে বর্তমানে তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী এবং বিধায়ককে গ্রেপ্তার করার পর তৃণমূল প্রতিবাদ মিছিল বের করেছে। সেদিক থেকে কেন ছত্রধর মাহাতোর জন্য এরকম কোনো কর্মসূচি নিতে দেখা গেল না ঘাসফুল শিবিরকে?

পর্যবেক্ষকদের মতে, এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ রয়েছে। আসলে ছত্রধর মাহাতোর ট্র্যাক রেকর্ড খুব একটা ভালো নয়। এর আগে নানা খুনের বিষয়ে তার নাম জড়িয়েছিল। সেদিক থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি ছত্রধর মাহাতোকে ছাড়ানোর ব্যাপারে তৃণমূল প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নামে, তাহলে পাল্টা ঘাসফুল শিবিরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হতে পারে। তাই তার বিষয়টি এড়িয়ে যেতেই দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।

তবে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা, মন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নামা হলেও, কেন জঙ্গলমহলে সাফল্যের মুখ দেখানো ছত্রধর মাহাতোর পাশে নেই তৃণমূল! সেই প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। একাংশ বলছেন, ছত্রধর মাহাতোর সাহায্য নিয়ে জঙ্গলমহলে ভালো ফলাফল করতে ভালোই লাগে।

কিন্তু যখন তিনি বিপদে পড়বেন, তখন তার পাশে না দাঁড়িয়ে দলের বড় বড় নেতা, মন্ত্রীদের ছাড়াতে ব্যস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে উনি ব্যবহার করে মানুষকে ছুড়ে ফেলে দিতে খুব ভালো জানেন। এক্ষেত্রে ছত্রধর মাহাতো বড় প্রমাণ বলে দাবি করছে বিরোধীরা। সব মিলিয়ে নারদ কান্ডে অস্বস্তির মাঝেই ছত্রধর মাহাতোকে নিয়ে প্রশ্ন তৃনমূলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!