প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপি 200 আসনের স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু দুশো আসন পাওয়া তো দূরের কথা, একশোর গণ্ডি পর্যন্ত পেরোতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। এবারের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে ব্যাপক চাপের মুখে পড়তে হয়েছিল। রাজ্যে এসে লাগাতার সভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু তারপরেও রাজ্যে বয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝড়।

একাই 200 পার করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। চারিদিকে স্লোগান শুরু হয়েছে, ভাঙ্গা পায়ে খেলা দেখিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিক ভাবেই এত কঠিন লড়াইয়ের পর যেভাবে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয়বার ক্ষমতায় এল, তাতে বিরোধী নেতাদের জবাব দেওয়ার জন্য মহাসমারোহে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পালন করা হতে পারে বলে আশা তৈরি হয়েছিল ঘাসফুল শিবিরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। কিন্তু জয়লাভ করলেও শপথগ্রহণ নেওয়া হলেও সেই অর্থে যে কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে না, তা জানিয়ে দিলেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের হবু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, কিছুক্ষণ আগেই কালীঘাটের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে তিনি তার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শপথগ্রহণ হবে। কিন্তু সেই অর্থে কোনো অনুষ্ঠান হবে না। করোনা পরিস্থিতি সামলানোর পর এটা নিয়ে সেলিব্রেশন করা হবে।” অর্থাৎ তৃণমূল নেত্রী বুঝিয়ে দিলেন, এখন তার কাছে প্রধান টার্গেট, করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া। আর সেই কারণে বহু মানুষকে নিয়ে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করবেন না তিনি। অর্থাৎ শুধুমাত্র শপথগ্রহণ করেই রাজ্যের মানুষের পাশে থাকার জন্য কাজ শুরু করে দেবে মা-মাটি-মানুষের সরকার।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এক্ষেত্রে শিক্ষনীয় বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন। বিজেপির বিরুদ্ধে এবারের জয়লাভ রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছিল তৃণমূল নেত্রীর কাছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিজেপিকে কার্যত ধরাশায়ী করে দিয়ে যেভাবে দুশো আসন পার করে তৃতীয় বার রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে ব্যাপক উজ্জীবিত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

কিন্তু তারপরেও সকলকে শান্ত থাকার বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেত্রী অপেক্ষা বেশি করে প্রশাসক হওয়ার চেষ্টা করলেন। এক্ষেত্রে নিজের দল জয়লাভ করলেও, তার আনন্দ থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যে এখন তার সব থেকে বড় কর্তব্য, তা শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান কাটছাট করে বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। যাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।