এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > হোম কাণ্ডে প্রবল চাপের মুখে ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন হেভিওয়েট মন্ত্রী

হোম কাণ্ডে প্রবল চাপের মুখে ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন হেভিওয়েট মন্ত্রী

সাম্প্রতিক কালে বিহারের একটি অন্যতম চাঞ্চল্যকর ঘটনা হলো মুজাফ্ফরপুর হোম কাণ্ড। আর এই কাণ্ডেই এলো নয়া মোড়। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ব্রজেশ ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর স্বামী চান্দেশ্বর বর্মার যোগাযোগ আছে এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরে বিহারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মঞ্জু বর্মা তাঁর মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে বৈঠক করার পরেই সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মঞ্জু বর্মা ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে এদিন আদালত চত্বরে অভিযুক্ত ব্রজেশ ঠাকুরের মুখে কালি ছিটিয়ে প্রতিবাদ করেন জন অধিকার পার্টির সমর্থকরা। প্রসঙ্গত ব্রজেশ ঠাকুরের এনজিও মুজাফ্ফরপুরের আবাসিক হোম পরিচালনা করত। রাজ্যের মন্ত্রী মঞ্জু বর্মার স্বামী চান্দেশ্বর বর্মার সাথে ব্রজেশ ঠাকুরের যোগাযোগের কথা প্রকাশ্যে আসতেই চাপের মুখের পড়েন মঞ্জু দেবী। শাসক দলের অন্দরের সমালোচনা এবং বিরোধী দলের কটাক্ষ এই দুইয়ের কাছে হার শিকার করে মঞ্জু বর্মা তাঁর দায়িত্বে থাকা সমাজকল্যাণ দফতর মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দেন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

হোম কাণ্ডে স্বভাবতই সারা বিহার রাজ্য ক্রোধে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। বুধবার ব্রজেশ ঠাকুর সহ আরও ৯ জন অভিযুক্তকে বিশেষ পকসো আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে উত্তেজিত জনতা তাঁদের ওপরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এবং জন অধিকার পার্টি (‌জাপ)‌-‌র সমর্থকরা ব্রজেশ ঠাকুরের মুখে কালি ছিটিয়ে দেয়। পুলিশ অভিযুক্ত ব্রজেশ ঠাকুরকে নিয়ে কোনোক্রমে আদালতে প্রবেশ করে। আদালতে ব্রজেশ ঠাকুর তাঁর বয়ানে বললেন, ” ‘‌কোর্টে নিয়ে আসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা না হলে গণপিটুনিতে মারা পড়ব।”

এছাড়াও তিনি আদালতে বিচারকের সম্মুখে অভিযোগের সুরে জানালেন জেলে কর্মীরা তাঁকে হেনস্থা করেন। তাদের অভদ্র আচরণ, অপমান তাঁকে সহ্য করতে হয়। তাঁকে ঘুমোতে দেওয়া হয় না। তাঁকে দিয়ে সব ধরনের কাজ করান হয়। যদিও পুলিশ রিপোর্ট জানাচ্ছে অন্য তথ্য। পুলিশ রিপোর্ট মোতাবেক ব্রজেশ ঠাকুর গ্রেফতার হওয়ার পর অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এদিকে চান্দেশ্বর বর্মার সাথে তাঁর যোগাযোগের প্রসঙ্গে ব্রজেশ ঠাকুর দাবি করলেন তাঁর সঙ্গে চান্দেশ্বরের কোনও যোগাযোগ নেই।

রাজনৈতিক কারণে কখনও-‌সখনও কথা হত। রাজনৈতিক কারণে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানালেন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাঁর । তিনি আগামী নির্বাচনে কংগ্রেসের মনোনয়নে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারেন এই অনুমান করেই তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। যদিও কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে ব্রজেশ ঠাকুরের এই বয়ান তাচ্ছিল্য করে ‘‌হাস্যকর’‌ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!