প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই নানা রকমের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা উঠে এসেছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকেও কিভাবে সারাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সেই নিয়ে নিত্য নতুন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে আদপে এই কার্যক্রম ঠিকঠাক ভাবে কাজে আসবে কিনা সেই নিয়েই উঠেছে অনেক প্রশ্ন। কারণ ইতিমধ্যেই প্রতিদিন যেভাবে সমগ্র দেশে করোনা থাবা বসাচ্ছে, তাতে এই প্রশ্ন বারবার উঠে এসেছে। আনলক শুরু হওয়ার, ইতিমধ্যেই খুলেছে অনেক কাজের ক্ষেত্র। সেই সঙ্গে অত্যাবশ্যকীয় সেক্টরগুলি তো আছেই। তাই কাজের তাগিদে সাধারণ মানুষ থেকে নেতা-মন্ত্রী প্রত্যেককেই বেরোতে হচ্ছে বাইরে। তবে তাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যে দোটানা চলছে তাতে করে ভবিষ্যতের কথা ভেবে দুশ্চিন্তার পারদ আরো বেড়ে যাচ্ছে বলেই মনে হয়।

ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে বহু নেতা-মন্ত্রীদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্য থেকে অনেকে সুস্থ হয়েছেন, আবার অনেকের প্রাণ হারানোর খবর মিলেছে। সুতরাং করোনার প্রকোপ থেকে কোনো মানুষই যে রেহাই পাবেনা, সেই কথাই বারবার প্রমাণ হয়ে আসছে এই ঘটনাগুলোর মধ্যে থেকে। তবুও সাধারণের স্বার্থে, জনসাধারণের সেবায় বিভিন্ন দলীয় নেতা মন্ত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করে যেতে হচ্ছে। তবে সম্প্রতি যাদবপুরের বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর হোম কোয়ারেন্টিনে চলে যাওয়ার খবর সামনে এসেছে। আর তাই নিয়ে বাম পরিষদীয় রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

জানা গেছে, যাদবপুরের বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর গাড়ির চালক করোনা আক্রান্ত। আর গাড়ি চালকের সংস্পর্শে আসায় আপাতত হোম কোয়ারেন্টাইনেই তাই রয়েছেন এই বিধায়ক। তবে তিনি কোভিড পজিটিভ নন বলেই আশ্বস্ত করেছেন। আসলে বিধানসভার অধিবেশন বসার কথা। তাই তার আগে বিধানসভায় সমস্ত বিধায়ক, কর্মী, গাড়ির চালক, সাংবাদিকের করোনা পরীক্ষা করা হয়। তাদের রিপোর্ট এলে দেখা যায়, সুজন চক্রবর্তীর ড্রাইভার করোনা আক্রান্ত। আর তারপরই উত্তেজনা তৈরী হয় বাম শিবিরে।

গতকাল সোশাল মিডিয়ায় টুইট করে তিনি নিজেই একথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে বলেন বুধবারের বিধানসভার বাদল অধিবেশন-সহ অন্তত আগামী সাত দিনের কোনও কর্মসূচিতেই তিনি অংশ নিতে পারছেন না। কারণ তাঁর ড্রাইভারের সংস্পর্শে আশায় তিনি আপাতত হোম-কোয়ারেন্টিনেই রয়েছেন। তবে এখনই তাঁর দলের সতীর্থদের বা তাঁর অনুরাগীদের উত্তেজিত হওয়ার বা চিন্তা করার কোনো কারণ নেই, কারণ গত মাসে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, সেই সময়ও তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তাই আপাতত বাড়িতেই থাকবেন তিনি। তবে শুধু তিনি নয় এ যাবৎ যতজন হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীর করোনা আক্রান্ত হবার খবর এসেছে, ততবারই করোনা সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বড়োসড়ো প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে সরকার প্রশাসনকে। তাই সকলের উদ্দেশ্যে একটাই পরামর্শ, যতটা সম্ভব করোনা সতর্কতা বজায় রাখলেই হয়তো ভবিষ্যতেও এর থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।