করোনা আটকাতে বড় সহায় হোমিওপ্যাথি? অল্প খরচেই কামাল করা এই ওষুধের কথা জানেন কি? অন্যান্য বিশেষ খবর শরীর-স্বাস্থ্য May 26, 2020 বিগত কয়েক মাসে করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বকে গ্রাস করে নিয়েছে বললেই চলে। বিশ্বের প্রতিটি দেশের গবেষকই করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কার এর জন্য মরিয়া হয়ে অক্লান্ত চেষ্টা করে চলেছেন। এরই মধ্যে আমাদের দেশেরই এক ডাক্তার করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে আশার আলো দেখালেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তীব্র আলোড়ন। অল্প খরচে হোমিওপ্যাথি ওষুধই করোনা রুখতে এবার আশার আলো দেখাচ্ছে তার ফলে। একদিকে গোটা বিশ্বের দেশগুলির গবেষকরা যেমন ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে এ্যালোপ্যাথি পদ্ধতি অনুসরণ করে আবিষ্কারের প্রচেষ্টা করছেন, তেমনি অন্যদিকে ভারতের একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার ডঃ জওহর শাহ গোটা বিশ্বের প্রায় ১০০ জন হোমিওপ্যাথি ডক্টর কে নিয়ে আবিষ্কার করেছেন এক বিশেষ ধরনের ওষুধ। ডঃ জওহর শাহ দাবি করেছেন কেবলমাত্র করোনা ভাইরাসই নয় যে কোনো রকমের ভাইরাসের ক্ষেত্রে এই ওষুধ প্রয়োগ করা হলে মানুষের শরীরে তা প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক গুণ বাড়িয়ে তোলে। জানা গেছে ডঃ জওহর শাহ মুম্বাইয়ে গত চল্লিশ বছর ধরে হোমিওপ্যাথি অনুশীলন করছেন। এই মারণ রোগ করোনা ভাইরাসকে রুখতে তিনি যে ওষুধ আবিষ্কার করেছেন তাহলো – সিকে ১ এবং সিকে ২। সূত্রের খবর মারফত জানা গেছে এদিন ডঃ জওহর শাহ জানিয়েছেন ভারতে বর্তমানে এমন বহু মানুষ আছে যারা করোনা সংক্রামিত হলেও কোন রকম উপসর্গ আগে থেকে পাওয়া যাচ্ছেনা এর ফলস্বরূপ সংক্রমণ ক্রমাগতই ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে প্রত্যেক মানুষই যাতে এই ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন সেই কথা মাথায় রেখেই এই ওষুধ বানানো হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - করোনা সংক্রামিত নয় এমন ব্যক্তিও যেমন এই ওষুধ নিতে পারবেন, ঠিক তেমনি উপসর্গহীন যেসব মানুষ করো না আক্রান্ত তারাও এই ওষুধ নিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে বলে জানিয়েছেন মুম্বাইয়ে দীর্ঘকাল ধরে অনুশীলনরত এই হোমিওপ্যাথি ডাক্তার। বিশেষত সম্প্রতি পরিযায়ী শ্রমিকরা এক জেলা থেকে অন্য জেলায় আবার এক রাজ্য থেকে অন্যত্র নিজেদের বাড়িতে ফিরছেন কার্যত তাদের ক্ষেত্রে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে তাই তাদের ক্ষেত্রে এই একই ওষুধ যথেষ্ট ফলদায়ক হবে বলে দাবি করেছেন ডঃ জওহর শাহ। প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে এদিন তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই আয়ুষ মন্ত্রালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী আয়ুর্বেদ এবং হোমিওপ্যাথি ডাক্তারদের মিলিয়ে মোট ১০ জনকে নিয়ে একটি টাস্কফোর্স দল গঠন করা হয়েছে। যা সম্প্রতি ভারতের সবথেকে করনা আক্রান্ত এলাকা মহারাষ্ট্রে কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। জানা গেছে সর্বস্তরের মানুষরাই ব্যবহার করতে পারবেন এই ওষুধ। মারণ ভাইরাসের থেকে মুক্ত করতে খুব অল্প দামে ওষুধ বাজারে পাওয়া যাবে। প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে আয়ুস মন্ত্রালয়ের নির্দেশের উপর ভিত্তি করে সাইকো নিউরো এন্ডোক্রাইনকে প্রভাবিত করা ওষুধটি তৈরি করা হয়েছে। আয়ুষ মন্ত্রালয়ে এই ওষুধটি পরীক্ষা করার পরেই বাজারে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানা গেছে ওষুধটিতে আর্সেনিক এলবাম এবং কর্পূর M1 রয়েছে। বর্তমানে বাজারে ওষুধ দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা। এবার জেনে নেওয়া যাক ওষুধ ব্যবহার করা হবে কিভাবে। প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে ওষুধটি এক মাসে পরপর মাত্র ৬ দিন ব্যবহার করতে হবে। সে ক্ষেত্রে সিকে ১ ওষুধটি টানা তিন দিন তিনবার করে সারাদিনে নিতে হবে এরপর সিকে ২ ওষুধটি একই নিয়মে পরের তিনদিন তিনবার নিতে হবে। এইভাবে গোটা এক মাসে মাত্র ৬ দিন এই নিয়মে মাত্র ১৫ থেকে ২০ টাকায় ওষুধ ব্যবহার করা যাবে। তবে ওষুধের কার্যকরি ভূমিকা হিসেবে বিশেষজ্ঞদের উপরমহল থেকে এখনো কোনো রকমের মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে। সবমিলিয়ে করোনা নিয়ে সবাই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন, এর মধ্যে যদি সত্যিই এই হোমিওপ্যাথি ওষুধ কামাল করতে পারে, সকলেই যেন বুকে একটু বল-ভরসা পাবেন। আপনার মতামত জানান -