হুগলিতে দলের ক্ষোভ-বিক্ষোভের পাহাড় সামাল দিতে গিয়ে লকেটের প্রচার আপাতত মাথায়! রাজ্য হাওড়া-হুগলি March 27, 2019 কথা ছিল, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলার 42 টি লোকসভা আসনের মধ্যে গেরুয়া শিবির তাদের দখলে 22 থেকে 23 টা আসন রাখবে। কিন্তু রাজনৈতিক গতি প্রকৃতি যে আকার নিচ্ছে এবং বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর যেভাবে দলেরই একাংশ প্রকাশ্যে বিদ্রোহ এবং অসন্তোষ দেখাতে শুরু করেছে, তাতে গেরুয়া শিবিরের সেই স্বপ্ন কতটা সার্থক হবে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে একটা বড়মাপের প্রশ্ন চিহ্ন। যেমন হুগলি লোকসভা কেন্দ্র। এখানে বিজেপির তরফে প্রার্থী হয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। আর লকেট দেবীকে এই আসনে প্রার্থী করার পরই রাজ্য বিজেপির সহসভাপতি রাজকমল পাঠক তার পদত্যাগপত্র বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এমনকি বর্তমানে সেই রাজকমল বাবুর অনুগামীরাও দলীয় প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে প্রচার না করার হুঁশিয়ারিও দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু যত দিন এগোচ্ছে ততই তো এগিয়ে আসছে নির্বাচন। তাই লোকসভা কেন্দ্রটিকে নিজেদের দখলে রাখতে এখন থেকেই প্রচারে না নামলে কি করে বিজেপি তাদের স্বপ্ন পূরণ করবে! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর ইতিমধ্যেই কেটে দিয়েছে চার চারটা দিন। কিন্তু সেইভাবে দু-একটি কর্মসূচি সেরে দলীয় কার্যালয়ে এসে নিজের লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় কর্মী সমর্থকদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ কাটাতেই বেশিরভাগ সময় কেটে যাচ্ছে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটার সময় চুঁচুড়ার জেলা কার্যালয়ে এসে সেখানে প্রথমেই দলের যুব এবং মহিলা মোর্চার কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন লকেট দেবী। আর সেখানেই দলীয় প্রার্থীর সামনে প্রকাশ্যেই হুগলি জেলা বিজেপির সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে দলের একাংশ। যা নিয়ে তুমুল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। পরে কিছুটা হতাশ হয়েই সবাইকে শান্ত হতে বলে লকেট দেবী বলেন, “কি গন্ডগোল আছে এখন তা দেখবার সময় নেই। নির্বাচনে সবাই ভালো করে কাজ করুন।” কিন্তু ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে হুগলি জেলা বিজেপির সভাপতি সুবীর নাগের বিরুদ্ধে? কেন তিনি দলীয় প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে দলের কর্মী-সমর্থকদের ময়দানে নামাতে পারছেন না? এদিন এই প্রসঙ্গে সুবীরবাবু বলেন, “কিছু সমস্যার কথা কর্মীরা বলেছে। এটাকে ক্ষোভ-বিক্ষোভ বলা যায় না। সব ঠিক হয়ে যাবে।” এদিকে হুগলিতে যখন দলীয় প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে তীব্র অসন্তোষ শুরু হয়েছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মনে, ঠিক তখনই শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবজিত সরকারের সমর্থনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের হেভিওয়েট মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদের জনসভা করার জন্য প্রায় সমস্ত কিছু ঠিক হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত তা বাতিল হয়ে যাওয়াতেও বিজেপি নেতা কর্মীদের মনে তৈরি হয়েছে তীব্র হতাশা। সব মিলিয়ে বাংলা দখলে 22 থেকে 23 টি আসন নিজেদের দখলে রাখবার জন্য বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব রাজ্য নেতৃত্বকে নির্দেশ দিলেও শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রার্থী নিয়ে যেভাবে রাজ্যের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি কর্মীদের প্রকাশ্যে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে, তাতে সেই স্বপ্ন গেরুয়া শিবিরের কতটা সার্থক হবে এখন সেদিকেই তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -