এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > হুগলিতে শাসকদলের বিরুদ্ধে যাচ্ছে একাধিক “ফ্যাক্টর”, শেষ ভরসা মমতা – আশায় গেরুয়া শিবির

হুগলিতে শাসকদলের বিরুদ্ধে যাচ্ছে একাধিক “ফ্যাক্টর”, শেষ ভরসা মমতা – আশায় গেরুয়া শিবির


হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। কিন্তু এই নির্বাচনে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চন্দননগর বিধানসভা এলাকায় লিড পেতে ইতিমধ্যেই শাসক-বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলই নিজেদের মতো করে জোর প্রচারে নেমে পড়েছেন।

বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক দলের ব্যর্থতার কারণেই এই চন্দননগর পুরসভার পুরোবোর্ড ভেঙে গিয়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়ন। আর বিরোধীরা যখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করছে, ঠিক তখনই এলাকায় উন্নয়নের কথা তুলে ধরে ভোট চাইছেন হুগলী লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগ।

প্রসঙ্গত, গত 2011 সালের বিধানসভা নির্বাচনে চন্দননগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস তৃণমূল জোট প্রার্থী অশোক সাউ 43 হাজার 39 ভোটের ব্যবধানে জয়ী হওয়ার পর গত 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল এবং কংগ্রেস এখানে পৃথক পৃথকভাবে ধরলে এই চন্দননগর বিধানসভা থেকে তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগ 67 হাজার 447 টি, সিপিএম প্রার্থী 42 হাজার 284 টি, বিজেপি প্রার্থী 41 হাজার 444 টি এবং কংগ্রেস প্রার্থী 6 হাজার 918 টি ভোট পায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরবর্তীকালে এই চন্দননগর পৌরসভা নির্বাচনে 33 টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃনমুল 24, বিজেপি 1, বাম 6 এবং বাম সমর্থিত নির্দল দুটি আসনে জয়লাভ করে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে গত 2016 র বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী ইন্দ্রনীল সেন এখানে জয়লাভ করার পরই শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল এমন পর্যায়ে যায় যে সেখানে সেই চন্দননগর পুরবোর্ড ভেঙে দিতে হয়। এমনকি ভদ্রেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান মনোজ উপাধ্যায় খুন হওয়ার পরও এই চন্দননগরে শাসকদলের সংগঠন অনেকটাই ধাক্কা আসে। আর এই সমস্ত ঘটনাকে হাতিয়ার করেই এবার এই চন্দননগর বিধানসভা থেকে লিড পেতে আশাবাদী বিরোধীরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে বাম প্রার্থী প্রদীপ সাহা বলেন, “চন্দননগর অত্যন্ত শান্তিপ্রিয় এবং ঐতিহ্যের শহর। কিন্তু এখানে শাসক দল নিজেদের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে যেভাবে গন্ডগোল করে অশান্তি সৃষ্টি করছে তা আমরা সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরছি। শাসক দলের কোন্দলের জন্য সাধারন মানুষ পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই ইভিএমে মানুষ এর জবাব দেবেন বলেই আমরা আশাবাদী।” একই কথা তুলে ধরে এবার এই হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চন্দননগর বিধানসভা থেকে লিড পেয়ে তারা অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন বলে আত্মপ্রত্যয়ের শোনা গেছে বিজেপি নেতা সুরেশ সাউয়ের গলায়।

যদিওবা বাম এবং বিজেপির এহেন অভিযোগ মানতে নারাজ হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগ। তিনি বলেন, “উড়ালপুল থেকে শুরু করে চন্দননগরের আলোকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া, রাস্তাঘাটের সৌন্দর্যায়ন সহ গত পাঁচ বছরে এই বিধানসভা এলাকাতে আমাদের সরকার প্রচুর উন্নয়ন করেছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ চেয়ে মানুষ এবারও তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবেন।”সব মিলিয়ে এবার হুগলি লোকসভা কেন্দ্র জিততে চন্দননগর বিধানসভা এলাকায় লিড পাওয়ার জন্য মরিয়া সমস্ত রাজনৈতিক দলই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!