এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হুগলিতে ক্রমশ ভারী হচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক বনাম হরিপালের বিধায়ক

হুগলিতে ক্রমশ ভারী হচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক বনাম হরিপালের বিধায়ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –হুগলির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে বারবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্বের গলায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেখানকার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে বন্ধ হয়নি, তা ফের প্রকাশ্যে চলে এল। এবার সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের সঙ্গে হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্নার দ্বন্দ্ব কার্যত খবরের শিরোনামে। একসময় সিঙ্গুর আন্দোলনে মাস্টারমশাই এবং ছাত্র তৃণমূলের হয়ে জোর লড়াই দিয়েছিলেন।

বিগত বাম সরকারের ঘুম কেড়ে নেওয়ার জন্য বেচারাম মান্না এবং রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের জুটি ছিল চোখে পড়ার মত। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরই সেই মাস্টারমশাই এবং ছাত্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। একদিকে হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না এবং অন্যদিকে সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের মধ্যে দ্বন্দ্ব সামলাতে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে শাসক দল।

জানা গেছে, এদিন সিঙ্গুরের কর্মী সম্মেলনে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য কার্যত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। যেখানে তার প্রধান অভিযোগ ছিল হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্নার বিরুদ্ধে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “সিঙ্গুরে তিনটি পঞ্চায়েতে বিজেপির সমর্থন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বোর্ড করেছে। দলের পক্ষ থেকে যখন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলা হচ্ছে, তখন দলের একাংশ বিজেপি-সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিজেদের লোককে পঞ্চায়েত প্রধান করছেন। তাহলে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলে মিটিং-মিছিল করলেও, তা বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, এই তিন পঞ্চায়েত প্রধান হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্নার ঘনিষ্ঠ। আর এদিনের কর্মীসভা থেকে নাম না করে এই ঘটনার কথা তুলে ধরে সেই বেচারাম মান্নার বিরুদ্ধে সরব হলেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলে মনে করছেন একাংশ। যার ফলে এই দুই তৃণমূল বিধায়কের মধ্যে দ্বন্দ্ব ক্রমশ বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে গত বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছিল বলেও দাবি করেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “গত বিধানসভা নির্বাচনে আমি সিঙ্গুরের টিকিট পাওয়ায় দলের কিছু লোক আমার কুশপুতুল পুড়িয়েছিল। এবারও তাদের ঘনিষ্ঠ কেউ টিকিট না পেলে, আবারও এরকমটা হওয়ার আশঙ্কা করছি।”

একাংশ বলছেন, কিছুদিন আগেই তৃণমূল নেতৃত্ব হুগলি জেলার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে দলের সকলকে সতর্ক করে দিয়েছেন। কিন্তু তার পরেও যেভাবে কর্মীসভা থেকে নাম না করে বেচারাম মান্নাকে কার্যত কটাক্ষ করলেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, তাতে এখানে তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যদিও বা এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, “রবীন্দ্রনাথবাবু তার কথা বলেছেন। দল আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়বে।” কিন্তু এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে তৃণমূল কিভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!