এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হঠাৎ বাধ্য মেয়ের মতো উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতে দিল্লি ছুটলেন কেন মমতা প্রশ্ন অধীরের? জেনে নিন বিস্তারিত

হঠাৎ বাধ্য মেয়ের মতো উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতে দিল্লি ছুটলেন কেন মমতা প্রশ্ন অধীরের? জেনে নিন বিস্তারিত


বরাবরই এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির চূড়ান্ত বিরোধিতা করে এসেছেন এবং এখনো করে যাচ্ছেন। এনআরসি হোক বা বালাকোট, কাশ্মীর ইস‍্যু বা চন্দ্রযান অভিযান – প্রতিটি ক্ষেত্রেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র বিষোদগার করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তাই এবার প্রধানমন্ত্রীর সাথে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নিয়ে বিরোধীরাও চরম কটাক্ষ সহযোগে মন্তব্য শুরু করেছেন।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে তাঁর সাক্ষাৎকার রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে শুধুমাত্র। এর পিছনে অন্য কোনো কারণ নেই। মুখ‍্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে তীব্র কটাক্ষ সহযোগে লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন নীতি আয়োগের বৈঠক কিংবা ডেভলপমেন্ট কাউন্সিল নিয়ে মিটিং করেন, তখনই উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করা যায়। হঠাৎ করে এরকম উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা শোনা যায় না। উপরন্তু মুখ্যমন্ত্রী এযাবৎকালে কোনদিনই উন্নয়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলার জন্য কোন আগ্রহ প্রকাশ করেননি। কেবল কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগই করে গেছেন। তাই  প্রধানমন্ত্রীর সাথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযয়ের সাক্ষাৎ এর পেছনে শুধুই কি উন্নয়ন কাজ করছে? নাকি অন্য কোন ব্যাপার?

বর্তমানে সিবিআই ভার্সেস রাজীব কুমারকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চরম উত্তেজনা। এই ঘটনা প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, রাজীব কুমারকে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাঁচাতে পারেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী অন্য কোন উপায় না পেয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছেই দরবার করতে গেছেন। আর রাজীব কুমারকে বাঁচাতেই হবে। কারণ, রাজীব কুমার সিবিআই এর হাতে ধরা পড়লে মুখ্যমন্ত্রী সহ তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতাই ফেঁসে যাবে বলে জানান তিনি।প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বুধবার বিকেল সাড়ে চারটের সময় প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারের সময় ঠিক হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সঠিক সময়ে সাক্ষাৎকারের জন্য মঙ্গলবার দিল্লির উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত এটাও ঠিক, যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যা নয় তাই বলেই রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে আক্রমণ করেছেন। রাজনৈতিক লড়াইয়ে মোদিও মমতাকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি। 2019 এর লোকসভা ভোটের পরেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রধানমন্ত্রীকে একই রকম ধারালো আক্রমণ করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী এনআরসি ইস্যু নিয়ে রাজপথে নেমেছিলেন আর প্রধানমন্ত্রীকে রীতিমত কাঠগড়ায় তুলে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন।

মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দিল্লি সফর সম্পর্কে জানান, ‘আমি তো গোটা বছরই কলকাতাতেই থাকি। দিল্লি খুব কম যাই। দিল্লিতে সংসদ, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী সবাই রয়েছেন। তাই কখনও কখনও রাজ্যের কাজে যেতে হয়। এটা রুটিন কাজ।’

তবে প্রধানমন্ত্রীর সাথে মুখ‍্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নিয়ে শুধু যে কোন একটি বিরোধী দল কটাক্ষ করছে, তা নয়, প্রত্যেকটি বিরোধীদল তৃণমূল সরকার কে চূড়ান্ত কটাক্ষ করতে শুরু করেছে। প্রত্যেক বিরোধীদলের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সাথে এই সাক্ষাৎকার অন্য কোন কারণে নয়, শুধুমাত্র সিবিআইয়ের হাত থেকে রাজীব কুমার কে বাঁচানোর জন্যই এই সাক্ষাৎকার।

তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ ঠিক কিনা তা সময় বলবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সাথে মুখ্যমন্ত্রীর এই সাক্ষাৎকার পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যে এক গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা যোগ করতে চলেছে সে বিষয় নিশ্চিত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!