কেমন চলছে মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ‘বাংলাশ্রী এক্সপ্রেস’? সত্যিটা জানলে চোখ কপালে উঠবে! কলকাতা রাজ্য হাওড়া-হুগলি July 31, 2018 রাজধানী কলকাতার সাথে জেলা সদরের সড়কপথে যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে দিনকয়েক আগে একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছিলো রাজ্যের পরিবহন দফতর। ধর্মতলা থেকে হুগলী জেলার চুঁচুড়া অবধি একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ‘ননস্টপ’ বাস চালু হয় – মুখ্যমন্ত্রীর সাধের এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয় ‘বাংলাশ্রী এক্সপ্রেস’। কিন্তু হলে কী হবে, দুই সপ্তাহ হতে চললো কিন্তু যাত্রীদের থেকে সেইরকম ইতিবাচক কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না এখনো বলে সূত্রের খবর। ফলে এক-দুজন যাত্রী আর ফাঁকা বাস নিয়েই ড্রাইভার-কন্ডাক্টরকে রওনা দিতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা তাঁদের বেশ হতাশ করে তুলছে। তাঁদের মতে ননস্টপ বাসযাত্রার বদলে – মাঝে কয়েকটা বাসস্টপেজে বাস থামিয়ে যাত্রী তোলার সুযোগ দেওয়া হলে হয়ত যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে অবশ্য বিরোধীরা গোটা বিষয়টাই অন্য নজরে দেখছেন – তাঁদের মতে সমগ্র পরিকল্পনাটাই ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার কারণে প্রথম থেকেই ব্যর্থতার মুখ দেখছে প্রকল্পটি। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা সুদর্শন রায়চৌধুরী নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “নতুন কিছু করতে গেলে সব কিছু খতিয়ে দেখা জরুরি, সময়ের একটা ব্যাপার রয়েছে। একটা বাস কখন আসবে তার জন্য যাত্রীরা যে অপেক্ষা করবেন, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। ননস্টপ বাসে যাত্রী পেতে অসুবিধা হবেই। এইরকম অনেক রুটেই নতুন বাস চালু করে পরে বন্ধ করে দিতে হয়েছিল – এ ভাবে চললে আর্থিক ক্ষতি হবে”। অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী তথা চুঁচুড়া নিবাসী তপন দাশগুপ্ত বললেন, “এই বাস পরিষেবা নতুন বলে এখনও যাত্রীরা বুঝে উঠতে পারেননি। কিছুদিন চললে মানুষের মুখে প্রচার হবে। তখন যাত্রী বাড়ার আশা রয়েছে, পরিবহণ দফতরের উদ্যোগে প্রচারের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে”। সবমিলিয়ে অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে ‘বাংলাশ্রী এক্সপ্রেস’ চালু করলেও, এখনো সেভাবে সাফল্যের মুখ না দেখায় স্বাভাবিকভাবেই সুর চড়াতে শুরু করেছেন বিরোধীরা, কিন্তু রাজ্য সরকারের আশা পুজোর পরেই বদলে যাবে সামগ্রিক চিত্রটা। আপনার মতামত জানান -