করোনায় আক্রান্ত মৃতদেহ থেকে সংক্ৰমণ কি সত্যিই ছড়ায়? ভয় কতটা? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা? অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিশেষ খবর শরীর-স্বাস্থ্য May 12, 2020 আমরা এতদিন একটি প্রচলিত কথার সঙ্গে খুব ভালো মতন পরিচিত ছিলাম। কথাটি হলো- ‘মরেও শান্তি নেই।’ আক্ষরিক অর্থেই এই কথাটির সত্যতা প্রমাণ হয়েছে করোনার আগমনকালে। করোনা এমন একটি অসুখ, যেখানে মারা গেলেও মৃতদেহের সংস্পর্শে যাতে তাঁর আত্মীয়-স্বজনরা না আসতে পারেন, তার দিকে সম্পূর্ণ নজর রাখা হচ্ছে। রীতিমতন আচ্ছাদনে মুড়ে মৃতদেহ সৎকারের পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এবং সেখানে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে কাউকে বিশেষ অ্যালাও করা হচ্ছে না প্রশাসনের তরফ থেকে। তবে এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে আশার বাণী। বলা হচ্ছে, যদি প্রয়োজনীয় সর্তকতা নেওয়া হয় তাহলে করোনার মৃতদেহ থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর কোন ভয় নেই। যেহেতু মানুষের শরীরের ড্রপলেট এর মাধ্যমে এই জীবাণু ছড়ায়, তাই মৃতদেহ থেকে এই সংক্রমণ ছড়ানোর কোন প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, মৃত দেহের মধ্যে কি করোনা ভাইরাস বেঁচে থাকতে পারে? তার উত্তরে এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, “একথা বলার অর্থ এই নয় যে আমরা মৃতদেহকে সংক্রামক নয় বলছি বলেই, আপনি মৃত ব্যক্তির প্রতি ভালোবাসার কারণে তাকে চুমু খাবেন বা এরকম কিছু করবেন। এর পরও আমাদের নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে মার্চ মাসে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশের মাধ্যমে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয় এরকম জ্বর বা কলেরা ছাড়া অন্য কোন মৃতদেহ সংক্রমণ ছড়াতে পারেনা। তবে করোনায় মৃত ব্যক্তিকে কিছু বিধিনিয়ম অনুযায়ী প্রশিক্ষিত ব্যক্তিরা শেষকৃত্য করতে পারেন বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যাঁরা উপস্থিত থাকবেন, তাঁদের জন্যও বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে করোনা সংক্রমণ আটকাতে মৃতদেহের জিনিসপত্র জীবাণুমুক্ত করার জন্য বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে পৃথিবীর বেশ কিছু জায়গায় করোনাভাইরাস এতোটাই মারাত্মক আকার ধারণ করেছে যে সেখানে সমস্ত নিয়ম মেনে চলা রীতিমতন কঠিন হয়ে পড়ছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ইকুয়েডর বা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, ব্রাজিলের মানাউস বা তুরস্কের ইস্তাম্বুলের করোনার পরিস্থিতির খবর সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যতদিন না করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হবে, ততদিন মানুষের হাতে সাবধানতা অবলম্বন করা ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা ও গবেষকরা চূড়ান্ত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার এর ব্যাপারে। এখনো পর্যন্ত করোনায় বিভিন্ন দেশে যেভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে, তা চিন্তায় ফেলে দিচ্ছে সকলকেই। অন্যদিকে বিশ্বের সর্বত্র এই মুহূর্তে একটাই প্রার্থনা চলছে,যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই করোনা নিপাত যাক। আপনার মতামত জানান -