এখন পড়ছেন
হোম > খেলা > IPL অকশনের শেষে কেমন দাঁড়ালো টীম KKR? কাদের কিনল নতুন করে? কতখানি ব্যালান্সড টীম?

IPL অকশনের শেষে কেমন দাঁড়ালো টীম KKR? কাদের কিনল নতুন করে? কতখানি ব্যালান্সড টীম?


আইপিলের দ্বাদশ সংস্করণ শুরু হওয়ার আগে গতকাল কলকাতায় বসেছিল এ বছরের জন্য আইপিএলের অকশনের আসর। আগামী বছর প্রত্যেকটা ফ্র্যাঞ্চাইসিকেই নতুন করে অকশন করে দল গোছাতে হবে। কিন্তু তার আগে, এই বছরের জন্য ফাঁকফোঁকর বুজিয়ে নিজেদের দল গুছিয়ে নিতে আসরে নেমেছিল সব দলই। বাকি দল কেমন হল – সেই আলোচনায় যাওয়ার আগে একটা কথা বলাই যায় কেকেআর দুর্দান্ত দল বানিয়ে ফেলল।

প্রথমেই একনজরে দেখে নেওয়া যাক গতকাল অকশন থেকে কাদের কিনল –
১. ইয়ন মর্গ্যান – ৫ কোটি ২৫ লক্ষ (বিদেশী)
২. প্যাট কামিন্স – ১৫ কোটি ৫০ লক্ষ (বিদেশী)
৩. রাহুল ত্রিপাঠি – ৬০ লক্ষ
৪. বরুন চক্রবর্তী – ৪ কোটি
৫. সিদ্ধার্থ মনিমরণ – ২০ লক্ষ
৬. ক্রিস গ্রীন – ২০ লক্ষ (বিদেশী)
৭. টম ব্যান্টন – ১ কোটি (বিদেশী)
৮. প্রবীণ তাম্বে – ২০ লক্ষ
৯. নিখিল নায়েক – ২০ লক্ষ

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়াও নিলামের আগে থেকেই যাঁরা কেকেআর দলে রয়েছেন –
১. সুনীল নারিন – ১২ কোটি ৫০ লক্ষ (বিদেশী)
২. আন্দ্রে রাসেল – ৮ কোটি ৫০ লক্ষ (বিদেশী)
৩. দীনেশ কার্তিক – ৭ কোটি ৪০ লক্ষ
৪. কুলদীপ যাদব – ৫ কোটি ৮০ লক্ষ
৫. নিতীশ রানা – ৩ কোটি ৪০ লক্ষ
৬. কমলেশ নাগারকোটি – ৩ কোটি ২০ লক্ষ
৭. শিবম মাভি – ৩ কোটি
৮. শুভম গিল – ১ কোটি ৮০ লক্ষ
৯. লোকি ফার্গুসন – ১ কোটি ৬০ লক্ষ (বিদেশী)
১০. রিঙকু সিং – ৮০ লক্ষ
১১. হ্যারি গার্নে – ৭৫ লক্ষ (বিদেশী)
১২. প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ – ২০ লক্ষ
১৩. সন্দীপ ওয়ারিয়র – ২০ লক্ষ
১৪. সিদ্ধেশ লাড – ২০ লক্ষ (নতুন এসেছেন)

এবার টীম কেকেআর খুব পরিকল্পনা করে অকশনে নেমেছিল আর নিজেদের স্ট্র্যাটেজির সফল রূপায়নে তারা ১০০% সফল। গত বছর অধিনায়ক হিসাবে কেকেআরকে বহু ম্যাচে ডুবিয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক। এছাড়াও, অধিনায়কত্বের চাপ তাঁর খেলায় ছাপ ফেলছিল। এছাড়াও দীর্ঘদিন দলকে ভরসা দেওয়া রবিন উত্থাপ্পা তিন নম্বরে নেমে আগের সেই ফর্মের ধারেকাছে নিয়ে যেতে পারছিলেন না।

আর তাই, নিলামের শুরুতেই ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বজয়ী অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানকে তুলে নিয়ে মাস্টারস্ট্রোক দেয় কেকেআর। একদিকে এতে যেমন দলের অধিনায়কের সমস্যা মিটল, অন্যদিকে তেমনই গুরুত্বপূর্ণ তিন নম্বর পজিশনে কেকেআর পেয়ে গেল মিস্টার ডিপেন্ডেবলকে। ফলে নিলামের শুরুতেই ৫ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে নিজেদের স্ট্যাটেজির সফল রূপায়ন করে নেন কেকেআর কর্তারা।

এরপরে কেকেআরে যে জায়গাটায় সব থেকে অসুবিধার জায়গা ছিল – তা হল একজন বিদেশী ফাস্ট বোলার। চোটের জন্য এই স্লটে এর আগে ভালো বিদেশী নিয়েও ভুগতে হয়েছিল। আর তাই চোখ বীজে সাড়ে ১৫ কোটি টাকা খরচ করে এই মুহূর্তে টি-২০তে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার প্যাট কামিন্সকে তুলে নিয়ে দল গুছোনোর কাজ ৯০% সেরে নেন কেকেআর ম্যানেজমেন্ট। এরপর বাকি ছিল ফিনিশিং টাচ দেওয়া।

পীযূষ চাওলাকে ছেড়ে দেওয়া হওয়ায় একজন স্পিনারের স্লট খালি ছিল টীম কেকেআরে। আর তাই টীম ম্যানেজমেন্ট অল আউট ঝাঁপায় মিস্ট্রি স্পিনার বরুন চক্রবর্তীর জন্য। ৪ কোটি টাকা তাঁকে তুলে নিতেই স্বয়ংসম্পূর্ন হয়ে যায় কলকাতা নাইট রাইডার্স টীম। তবে, কেকের উপর চেরির মত এর পরেও চমক বাকি ছিল। টি-১০ ক্রিকেটে ঝড় তুলে দেওয়া ওপেনার তথা উইকেটকিপার ইংল্যান্ডের টম ব্যান্টনকে তাঁর বেস প্রাইস ১ কোটিতে কিনে নেয় কেকেআর।

ফলে, কোনোদিন যদি আন্দ্রে রাসেল চোট পেয়ে যান, তাহলে টম ব্যান্টনকে দিয়ে ওপেন করিয়ে, সুনীল নারিনকে সেক্ষত্রে লোয়ার অর্ডারে ঠেলে দেওয়া যাবে। আবার যেহেতু তিনি উইকেটকিপিংটাও করে দিতে পারেন – তাই, সেদিন পিচের চরিত্র মত একজন অতিরিক্ত বোলার বা ব্যাটসম্যান খেলিয়ে দেওয়া যাবে দীনেশ কার্তিকের জায়গায়। আর তাই নিজেদের পরিকল্পনামত দল গুছিয়ে নিয়ে নিলামের শেষে চমক দিল টীম কেকেআর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!