এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ১৪ ই এপ্রিলের পর কিভাবে উঠতে পারে লকডাউন? পাওয়া গেল একগুচ্ছ পরিকল্পনার খোঁজ

১৪ ই এপ্রিলের পর কিভাবে উঠতে পারে লকডাউন? পাওয়া গেল একগুচ্ছ পরিকল্পনার খোঁজ


করোনা ভাইরাস নিয়ে ইতিমধ্যেই ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে দেশে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হার। সংক্রমণকে রুখতে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন যা ওঠার কথা আগামী 14 এপ্রিল। কিন্তু বর্তমানে করোনা নিয়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। তার মধ্যেই করোনাকে হারানোর লড়াই জারি রয়েছে। আর এর মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে কতদিন চলবে দেশজোড়া লকডাউন? আপাতত এই নিয়েই চাপানউতোর চলছে দেশজুড়ে।

ইতিমধ্যেই অফিস কাছারি থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য সমস্ত বন্ধ হয়ে রয়েছে। তাই সাধারণ মানুষের একটাই প্রশ্ন, 14 ই এপ্রিলের পরেও লকডাউন কি বজায় থাকবে? নাকি উঠে যাবে? তবে এ ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা আর কে মিশ্র। তিনি টুইটারের মাধ্যমে জানিয়েছেন, বিভিন্ন শিল্পপতি, রাজনৈতিক চিন্তাবিদ এবং নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যেতে পারে।

অর্থাৎ লকডাউন উঠবে তবে তা ধাপে ধাপে। প্রথম ভাগে আইটি, ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও বিপিও সংস্থার ক্ষেত্রে প্রথম সপ্তাহে হাজির করতে হবে 25 শতাংশ কর্মীকে। তার পরের সপ্তাহে 50 শতাংশ এবং তার পরের সপ্তাহে 75% ও সবশেষে চতুর্থ সপ্তাহে পুরোপুরি 100% কর্মীকে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য ডাকা যেতে পারে। তবে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্বের নিয়মটি। দ্বিতীয় ভাগে খাবার এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য যাতে সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছায় প্রথম সপ্তাহ থেকেই তা দেখতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, যে সমস্ত সংস্থাগুলি work-from-home অবস্থায় কাজ চালাতে পারবেন তাঁদের পরিস্থিতি বিচার করে সেভাবেই চলা উচিত। তবে গণপরিবহন ব্যবস্থা আগামী চার সপ্তাহ বন্ধ রাখা উচিত বলে মনে করা হচ্ছে। তার কারণ, সবথেকে বেশি জনসমাগম ঘটে এই পরিবহনের মাধ্যমে। সে ক্ষেত্রে রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে বলা হচ্ছে, ব্যক্তিগত গাড়ি অবশ্যই চালানো যেতে পারে তবে নিয়ন্ত্রিতভাবে। অন্যদিকে স্কুল, শপিংমল, সিনেমাহলও একইভাবে সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য আদর্শ জায়গা।

তাই এগুলিও আগামী চার সপ্তাহ বন্ধ রাখা দরকার বলে মনে করছেন রাজনৈতিক নেতা আর কে মিশ্র। তবে করোনার আঘাতে ভারতের অর্থনীতির যে বহুল ক্ষতি হয়েছে, তা চাঙ্গা করতে অবশ্যই প্রথম সপ্তাহ থেকেই ই-কমার্স ডেলিভারি চালু করা উচিত বলে দাবি করছেন আর কে মিশ্র। তবে লকডাউন এরপরে পণ্যবাহী ট্রাক এবং কিছু ব্যক্তিগত গাড়িকে অবশ্যই ছাড় দেওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার নির্ধারিত কুড়িটি হটস্পটে লকডাউন নির্ধারিত দিনে ওঠার পরেও টানা চার সপ্তাহ প্রক্রিয়া চলবে।

সেখানে কোনো ভাবেই লকডাউন তোলা যাবেনা। করোনাভাইরাস এই মুহূর্তে মানুষের জীবনে একটা ত্রাস সৃষ্টি করেছে। এই ত্রাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলি প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এই লড়াই অনেক বেশি কঠিন। এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। তাই বিনা অস্ত্রে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে শুধুমাত্র সর্তকতা ও সচেতনতাকে হাতিয়ার করে। আর এই সচেতনতাকে সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!