এই সহজ কাজটি করলেই করোনা থেকে মুক্তি? সেরে উঠে রহস্য ফাঁস করলেন খোদ দিল্লির করোনা আক্রান্ত জাতীয় April 24, 2020 দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি দিনে দিনে খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে এগোচ্ছে। রাজধানী দিল্লিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এই মুহূর্তে মাত্রাছাড়া অবস্থায় পৌঁছে গেছে। প্রাথমিক লকডাউন এর মধ্যেই দিল্লির নিজামুদ্দিন ধর্মীয় সমাবেশের কারণে দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা যে আরো বেড়ে গেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে নতুন করে আশঙ্কার খবর রাজধানী দিল্লিতে। জানা গেছে,দিল্লীতে চিকিৎসাকর্মীদের পাশাপাশি এবার নতুন করে তিন পুলিশকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন নবী করিম এলাকা থেকে। এই এলাকা রাজধানী শহরের যে 84 টি কনটেইনমেন্ট জোন রয়েছে, তার মধ্যেই পড়ে। যে কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। এই মুহূর্তে দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা 2081 জন। তাঁদের মধ্যে 47 জনের মৃত্যু অলরেডি হয়ে গেছে। অন্যদিকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন 431 জন। দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত 18601 জন। যাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে 590 জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন এই মুহূর্তে 3252 জন। যাঁরা ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁদের তালিকায় আছেন রোহিত দত্ত। রোহিত ব্যবসায়ী এবং তিনি বিদেশ থেকে ফিরেছিলেন করোনা উপসর্গ নিয়ে। তাঁর বয়স 45 এবং তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁকে রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এর পরে তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, ‘এর পরেই আমি কোয়ারান্টাইনে চলে যাই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে বাড়িতে ফিরতে দেয়নি। হাসপাতালে সবরকম ব্যবস্থা ছিল। উত্তর ভারতে আমিই ছিলাম প্রথম কোভিড পেশেন্ট। প্রত্যেক চিকিত্সক ও নার্স ছিলেন দক্ষ। তাঁরা নিজেদের কাজ ভালভাবেই জানতেন।’ আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়ার পর রোহিত অন্যান্য করোনা রোগীদের প্রতি পরামর্শ দিয়েছেন, নিয়মিত প্রাণায়াম করার এবং ইতিবাচক চিন্তা করার। অন্যদিকে জানা গেছে, ইতিমধ্যে করোনার বাড়বাড়ন্তের ফলে দিল্লি গাজিয়াবাদ সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে গাজিয়াবাদের জেলাশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী। শুধুমাত্র যাঁরা জরুরীভিত্তিক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যাঁরা সরবরাহ করেন, একমাত্র তাঁরাই পাস দেখালেই বর্ডার দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। বর্ডার পুরোপুরি বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে। দিল্লি থেকে গাজিয়াবাদে আসা 6 জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে সম্প্রতি আর তারপরেই দিল্লি গাজিয়াবাদ সীমান্ত সিল করে দেওয়া হল বলে খবর। এই মুহূর্তে দিল্লি গাজিয়াবাদ সীমান্তে একের পর এক ট্রাক ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রীতিমতো আশংকাজনক। উত্তরপ্রদেশের 52 টি জেলাতে করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে খবর। অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণ এড়াতে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। দিল্লিতে ইতিমধ্যে উপসর্গহীন করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। সেদিকে নজর রেখেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দিল্লি এখন গোষ্ঠী সংক্রমণের আগের মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছে। এই অবস্থায় অনেকেই দাবি করছেন, দিল্লি সরকার ও সেখানকার প্রশাসন আগে থেকে সতর্ক হলে দেশে করোনা সংক্রমণের তালিকায় দিল্লি প্রথম 3 এর মধ্যে থাকত না। আপাতত লকডাউন মেনে দিল্লিকে করোনামুক্ত করার কাজে লেগেছে সেখানকার প্রশাসন। আপনার মতামত জানান -