এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সত্যি প্রকাশিত প্রিয় বন্ধুর খবরেই, রাজ্য-রাজনীতিতে নতুন ধারায় চূড়ান্ত সফল শিক্ষক আন্দোলন

সত্যি প্রকাশিত প্রিয় বন্ধুর খবরেই, রাজ্য-রাজনীতিতে নতুন ধারায় চূড়ান্ত সফল শিক্ষক আন্দোলন


গত দুদিন ধরে শহীদ মিনার চত্ত্বরে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠন উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বা ইউইউপিটিডব্লুএর নেতৃত্ত্বে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষকদের পিআরটি স্কেলের দাবিতে দুদিন ব্যাপী ধর্ণা ও আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল – যা নিয়ে রীতিমত উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। প্রতিবাদী শিক্ষক মইদুল ইসলামের নেতৃত্ত্বে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদিকা পৃথা বিশ্বাস, রাজ্য সভাপতি সন্দীপ ঘোষ, অন্যতম শীর্ষনেতা চন্দন চট্টোপাধ্যায় সহ সংগঠনের সমগ্র কোর কমিটি – রাজ্য-রাজনীতিতে এক নতুন ধারার সূচনা করেন, যা চূড়ান্ত রূপে সফল।

মইদুলবাবুরা জানান, উস্থি এক সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন এবং আমাদের আন্দোলন সম্পূর্ণ মানবিক। আর তাই, রাজনৈতিক রঙ-মত ভুলে রাজ্যের সকল রাজনৈতিক নেতা, জন-প্রতিনিধি সুশীল-সমাজ ও গণ-সংগঠনকে এই আন্দোলনকে সমর্থন করতে জানানো হবে। তাঁদের সেই পরিকল্পনা যে সম্পূর্ণরূপে সফল তা বোঝা যায় যখন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নেন বামফ্রন্টের সুজন চক্রবর্তী, বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যরা, সঙ্গ দেন কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী, আব্দুল মান্নানরা। এক মঞ্চে রাজ্যের বিরোধী তিন শক্তি বিজেপি-বাম-কংগ্রেস এক হয়ে এই আন্দোলনে সমর্থন জানায়।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

প্রসঙ্গত, মইদুল ইসলমারা যে এই বৃহত্তর প্রেক্ষাপট তৈরী করতে চলেছেন এবং তাঁদের আন্দোলনে অভাবনীয়ভাবে বিজেপি-বাম-কংগ্রেসকে মিলিয়ে দিতে চলেছেন সে খবর প্রথম প্রকাশ করে প্রিয় বন্ধু মিডিয়াই। সংগঠনের তরফে মইদুলবাবু তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় তার জন্য প্রিয় বন্ধু মিডিয়াকে আলাদা করে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি। যদিও, এই খবর যখন আমরা প্রথম প্রকাশ করি – তখন অনেকেই আমাদের অনেক অপমানজনক কথাবার্তা বলেন এবং বিভিন্নভাবে আমাদের খবর নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, আজ আন্দোলনের শেষে আমরা খুশি আমাদের প্রকাশিত খবরই সঠিক এবং সংগঠনের দাবি যে বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে যেভাবে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির মাধ্যমে তাঁরা রাজ্য সরকারকে বার্তা দিতে চেয়েছিলেন তা চূড়ান্তরূপে সফল।

প্রতিবাদী শিক্ষক মইদুল ইসলামের প্রিয় বন্ধু মিডিয়াকে সেই ধন্যবাদ জ্ঞাপনের পোস্ট।

এই প্রসঙ্গে মইদুল ইসলাম প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন, আমরা খুশি আমাদের আন্দোলন চূড়ান্তরূপে সফল। সরকার যে রীতিমত চাপে পরে গেছে তা শাসকদলের মহাসচিবের বিভিন্ন মন্তব্যেই প্রমাণিত। একবার তিনি শিক্ষকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তো একবার বলছেন অন্য রাজ্যের প্রামাণ্য নথি দেখাও! আসলে আমাদের দাবি যে ন্যায্য তা সরকারও জানে – তাই এর সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি একসময় আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিতে, শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেও পুলিশ দিয়ে ১০০-এরও বেশি শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু আমাদের অনশনের সামনে পিছু হঠে শেষ পর্যন্ত সকল শিক্ষক নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বাধ্য হয় সরকার।

মইদুলবাবু আরও জানিয়েছেন, তবে আমরা শিক্ষক সমাজ – কোনো সময়েই আমরা অবিবেচকের মত কাজ করব না। সরকার আমাদের ন্যায্য পাওনা না দিতে পারে – কিন্তু, আমাদের বলা হয় জাতির মেরুদন্ড। সুতরাং আমরা এমন কোন কাজ করব না যাতে আমাদের দিকে পরবর্তী প্রজন্ম আঙ্গুল তুলতে পারে। আমরা আন্দোলনে নামলে কি হতে পারে – তা আমরা সরকারকে বুঝিয়ে দিয়েছি। একইসঙ্গে, আমরা সরকারকে আগামী বিধানসভা অধিবেশন পর্যন্ত চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিলাম। আশা করি রাজ্যের আইনসভায় এই নিয়ে যথাযথ আলোচনা হবে এবং সরকার সদর্থক পদক্ষেপ নেবে। নাহলে কিন্তু আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবে শিক্ষক সমাজ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!