পশ্চিমবঙ্গের ৪২ জন সাংসদের লোকসভার ‘পারফরম্যান্স গ্রাফ’ – দ্বিতীয় কিস্তি জাতীয় বিশেষ খবর ভোটের সমীক্ষা রাজ্য April 20, 2018 আর এক বছরের মধ্যেই ২০১৯ সালে হতে চলেছে আরেকটা লোকসভা নির্বাচন। গত ৪ বছরে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে জিতে যাওয়া ৪২ জন সাংসদের পারফরমেন্স কেমন? জাতীয় রাজনীতিতে কতটা বাংলাকে তুলে ধরলেন তাঁরা? লোকসভা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য দিয়ে দেখে নেওয়া যাক তাঁদের এই ৪ বছরের পারফরমেন্স (কয়েকজনের ক্ষেত্রে অবশ্য সময়টা একটু কম, কেননা তাঁরা উপনির্বাচনে জিতে গিয়েছিলেন), গতকাল প্রতম কিস্তিতে আমরা তুলে ধরেছিলাম সাংসদের লোকসভাতে উপস্থিতির হিসেব। আর আজ দেখে নেওয়া যাক লোকসভাতে বিভিন্ন বিতর্কে উপস্থিত থেকে বাংলার কথা, নিজেদের দলের তুলে ধরার ক্ষেত্রে কে কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে। গত ৪ বছরে বাংলা থেকে নির্বাচিত সাংসদদের হাত ধরে জাতীয় রাজনীতিতে বাংলা কতটা এগোতে পারল। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে জাতীয় ক্ষেত্রে গড় বিতর্কে অংশগ্রহণ – ৫৭.৯ রাজ্যের ক্ষেত্রে গড় বিতর্কে অংশগ্রহণ – ২৯.১ ১. সুব্রত বক্সী – ০ ২. বাবুল সুপ্রিয় – ০ ৩. শিশির অধিকারী – ০ ৪. দিব্যেন্দু অধিকারী – ০ ৫. উমা সরেন – ০ ৬. চৌধুরী মোহন জাটুয়া – ০ ৭. সাজদা আহমেদ – ০ ৮. সন্ধ্যা রায় – ১ ৯. মুনমুন সেন – ১ ১০. প্রসূন ব্যানার্জি – ১ ১১. অনুপম হাজরা – ১ ১২. দীপক অধিকারী (দেব) – ২ ১৩. বিজয় চন্দ্র বর্মন – ২ ১৪. আবু হাসেম খান চৌধুরী – ২ ১৫. অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় – ৩ ১৬. দশরথ তিরকে – ৩ ১৭. শতাব্দী রায় – ৩ ১৮. পার্থ প্রতিম রায় – ৪ ১৯. মৃগাঙ্ক মাহাতো – ৫ ২০. মমতা ঠাকুর – ৬ ২১. সুনীল কুমার মন্ডল – ৭ ২২. তাপস পাল – ৮ ২৩. মৌসম নূর – ৮ ২৪. সৌমিত্র খান – ৮ ২৫. কাকলি ঘোষ দস্তিদার – ১৫ ২৬. অর্পিতা ঘোষ – ১৭ ২৭. ইদ্রিস আলি – ১৯ ২৮. দীনেশ ত্রিবেদী – ২০ ২৯. সুগত বসু – ২৮ ৩০. সুরিন্দর আহলুওয়ালিয়া – ৩০ ৩১. তাপস মন্ডল – ৩০ ৩২. অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় – ৩১ ৩৩. সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় – ৪৭ ৩৪. কল্যাণ ব্যানার্জী – ৪৯ ৩৫. প্রতিমা মন্ডল – ৫৮ ৩৬. মমতাজ সঙ্ঘমিত্রা – ৬০ ৩৭. অপরূপা পোদ্দার (আফরিন আলি) – ৬৯ ৩৮. মহম্মদ সেলিম – ৬৯ ৩৯. রত্না দে – ১০০ ৪০. অধীর রঞ্জন চৌধুরী – ১০২ ৪১. বদরুদ্দোজা খান – ১৪৫ ৪২. সৌগত রায় – ১৯৬ অর্থাৎ বাংলার ৭ জন সাংসদ একটিও বিতর্কে অংশগ্রহণ করেননি, মাত্র ৪ জন সাংসদ কোনোরকমে ১ টি মাত্র বিতর্কে অংশগ্রহণ করেছেন। মোট ২৪ হন সাংসদ বিতর্কে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে দু-অঙ্কের সংখ্যা ছোঁননি। রাজ্যের গড় বিতর্কে অংশগ্রহণ করার থেকেও কমের সংখ্যাটা ২৯ (প্রায় ৬৯%)। তার থেকেও বড় কথা ৩৪ জন (প্রায় ৮১%) সাংসদ জাতীয় গড়ের থেকেও কম বিতর্কে অংশগ্রহণ করেছেন। একটাও বিতর্কে অংশগ্রহণ করেননি দক্ষিণ-কলকাতার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুব্রত বক্সী, আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, কাঁথির তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শিশির অধিকারী, তমলুকের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, ঝাড়গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ উমা সরেন, মথুরাপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ চৌধুরী মোহন জাটুয়া ও উলুবেড়িয়ার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সাজদা আহমেদ, আর সবথেকে বেশি বিতর্কে অংশগ্রহণ করেছেন দমদমের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, ১৯৬ টি। আপনার মতামত জানান -