পশ্চিমবঙ্গের ৪২ জন সাংসদের লোকসভার ‘পারফরম্যান্স গ্রাফ’ – তৃতীয় কিস্তি জাতীয় বিশেষ খবর ভোটের সমীক্ষা রাজ্য April 22, 2018 আর এক বছরের মধ্যেই ২০১৯ সালে হতে চলেছে আরেকটা লোকসভা নির্বাচন। গত ৪ বছরে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে জিতে যাওয়া ৪২ জন সাংসদের পারফরমেন্স কেমন? জাতীয় রাজনীতিতে কতটা বাংলাকে তুলে ধরলেন তাঁরা? লোকসভা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য দিয়ে দেখে নেওয়া যাক তাঁদের এই ৪ বছরের পারফরমেন্স (কয়েকজনের ক্ষেত্রে অবশ্য সময়টা একটু কম, কেননা তাঁরা উপনির্বাচনে জিতে গিয়েছিলেন), গত কয়েকদিনে দুই কিস্তিতে আমরা তুলে ধরেছিলাম সাংসদের লোকসভাতে উপস্থিতির হিসেব ও সাংসদদের প্রধান যা কাজ সেই বিতর্কে অংশগ্রহণ করা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য। আর আজ দেখে নেওয়া যাক লোকসভাতে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে বাংলার কথা, নিজেদের দলের কথা তুলে ধরার ক্ষেত্রে কে কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে। গত ৪ বছরে বাংলা থেকে নির্বাচিত সাংসদদের হাত ধরে জাতীয় রাজনীতিতে বাংলা কতটা এগোতে পারল। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে জাতীয় ক্ষেত্রে গড় প্রশ্ন তোলা – ২৫১ রাজ্যের ক্ষেত্রে গড় প্রশ্ন তোলা – ৮০ ১. সুব্রত বক্সী – ০ ২. বাবুল সুপ্রিয় – ০ ৩. উমা সরেন – ০ ৪. চৌধুরী মোহন জাটুয়া – ০ ৫. সন্ধ্যা রায় – ০ ৬. মুনমুন সেন – ০ ৭. বিজয় চন্দ্র বর্মন – ০ ৮. আবু হাসেম খান চৌধুরী – ০ ৯. দশরথ তিরকে – ০ ১০. মমতা ঠাকুর – ০ ১১. সুরিন্দর আহলুওয়ালিয়া – ০ ১২. সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় – ০ ১৩. সুগত বসু – ১ ১৪. শতাব্দী রায় – ২ ১৫. তাপস মন্ডল – ২ ১৬. দীপক অধিকারী (দেব) – ৩ ১৭. সাজদা আহমেদ – ৬ ১৮. সৌমিত্র খান – ৬ ১৯. তাপস পাল – ৭ ২০. মৃগাঙ্ক মাহাতো – ৮ ২১. কাকলি ঘোষ দস্তিদার – ১০ ২২. ইদ্রিস আলি – ১৭ ২৩. পার্থ প্রতিম রায় – ২৫ ২৪. অর্পিতা ঘোষ – ২৫ ২৫. প্রতিমা মন্ডল – ৩৭ ২৬. প্রসূন ব্যানার্জি – ৪১ ২৭. অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় – ৪৫ ২৮. মমতাজ সঙ্ঘমিত্রা – ৪৮ ২৯. অনুপম হাজরা – ৬৫ ৩০. অপরূপা পোদ্দার (আফরিন আলি) – ৬৬ ৩১. মহম্মদ সেলিম – ৬৬ ৩২. কল্যাণ ব্যানার্জী – ৭২ ৩৩. দিব্যেন্দু অধিকারী – ৭৪ ৩৪. অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় – ১৪৮ ৩৫. অধীর রঞ্জন চৌধুরী – ১৭০ ৩৬. শিশির অধিকারী – ২০১ ৩৭. মৌসম নূর – ২০৪ ৩৮. দীনেশ ত্রিবেদী – ২১৪ ৩৯. রত্না দে – ২৭৭ ৪০. বদরুদ্দোজা খান – ৩০৬ ৪১. সুনীল কুমার মন্ডল – ৩০৭ ৪২. সৌগত রায় – ৫০৫ অর্থাৎ বাংলার ১২ জন সাংসদ একটিও প্রশ্ন করেননি। মোট ২০ জন সাংসদ বিতর্কে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে দু-অঙ্কের সংখ্যা ছোঁননি। রাজ্যের গড় বিতর্কে অংশগ্রহণ করার থেকেও কমের সংখ্যাটা ৩৩ (প্রায় ৭৯%)। তার থেকেও বড় কথা ৩৮ জন (প্রায় ৯০%) সাংসদ জাতীয় গড়ের থেকেও কম প্রশ্ন করেছেন। একটাও প্রশ্ন করেননি দক্ষিণ-কলকাতার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুব্রত বক্সী, আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, ঝাড়গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ উমা সরেন, মথুরাপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ চৌধুরী মোহন জাটুয়া, মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সন্ধ্যা রায়, বাঁকুড়ার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মুনমুন সেন, জলপাইগুড়ির তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ বিজয় চন্দ্র বর্মন, মালদা-দক্ষিণের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী, আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দশরথ তিরকে, বনগাঁর তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মমতা ঠাকুর, দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া ও কলকাতা-উত্তরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, আর সবথেকে বেশি প্রশ্ন করেছেন দমদমের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, ৫০৫ টি। আপনার মতামত জানান -